এনডিএ-তে ২০-২০ 'গেম'! অমিত-নীতীশের বিরোধিতায় মোদী সরকারের মন্ত্রী
বিজেপি সহযোগী আরএলএসপি প্রধান এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিজেপির দেওয়া আসন রফার প্রস্তাব বাতিল করে দিলেন।
বিজেপি সহযোগী আরএলএসপি প্রধান এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিজেপির দেওয়া আসন রফার প্রস্তাব বাতিল করে দিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী অমিত শাহ ও নীতীশ কুমারের বৈঠকে ঠিক হয়, বিহারের ৪০ টি আসনের মধ্যে ২০ টিতে লড়বে বিজেপি। বাকি কুড়িটির মধ্যে ১২টি জেডিইউ, এলজেপি ছয় এবং আরএলএসপি দুটি আসনে লড়বে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবিষয়ে বলেছেন, তিনি কোনও দিনই ক্রিকেট খেলেননি। সেই খেলার প্রতি তাঁর কোনও আগ্রহও নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
১২ জুলাই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এরপর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিহারে ২০-২০ আসন সমঝোতার বিষয়টি সামনে আসে।
পাটনায় সাংবাদিক সম্মেলনে উপেন্দ্র কুশওয়াহা বলেছেন, তিনি ছোটবেলায় কেবল গিলি-ডান্ডা( বাংলায় যা ডাংগুলি) খেলেছেন। এছাড়া তিনি খেলা বোঝেন না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিশেষ করে ক্রিকেটে তাঁর কোনও হাত নেই। উৎসাহও নেই।
ভারতীয় খেলা গিলি-ডান্ডা( বাংলায় যা ডাংগুলি), যাতে একটি ছোট কাঠের টুকরোকে অপর একটি লাঠি দিয়ে খেলা হয়। এই খেলাকে উল্লেখ করে, কুশওয়াহা নিজের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এনডিএ-র আসন সমঝোতায় আরও বেশি সংখ্যক আসন দাবি করেছেন তিনি। কেননা বিহারে কুশওয়াহাদের জনসংখ্যা ৮-১০ শতাংশের মতো বলেই সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন:নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য 'মনোনীত' মোদী! জেনে নিন বিস্তারিত]
আরএলএসপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নাগমনি দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন, তাঁদের দলকে এনডিএ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যদিও নাগমনির কথা সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে মন্ত্রী বলেন, ধন্ধ তৈরি করেছে মিডিয়াই।
[আরও পড়ুন:রাহুলের সঙ্গে 'টক্কর'! একসঙ্গে রাজ্য সফরে মোদী-অমিত শাহ]
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা জানিয়েছেন, মানুষের সঙ্গেই তাঁর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
[আরও পড়ুন:'আমার ভালোবাসা জানাবেন আমার বন্ধু মোদীকে', সুষমাকে দেখেই বললেন ট্রাম্প]