বড় ধাক্কা খেল বিজেপি! প্রশান্ত কিশোরের 'পরামর্শে' সুর বদল এনডিএ শরিকের
সংসদের উভয়কক্ষেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে নীতীশ কুমারের জেডিইউ মোদী সরকারকে সমর্থন দিলেও, নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বেঁকে বসল তারা।
সংসদের উভয়কক্ষেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে নীতীশ কুমারের জেডিইউ নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সমর্থন দিলেও, নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বেঁকে বসল তারা। এদিন তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বিহারে কিছুতেই এনআরসি প্রয়োগ করতে দেবে না তারা।
বিহারে এনআরসির বিরুদ্ধে জেডিইউ
রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অশোক চৌধুরী স্পষ্ট বলেছেন, জেডিইউ সবসময়ই বিহারে এনআরসি লাগু করার বিরুদ্ধে। তাদের অবস্থান এখনও সেরকমই আছে। অশোক চৌধুরীর মন্তব্যের আগে দলের সহ সভাপতি তথা পোল স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন নীতীশ কুমার বিহারে এনআরসির পক্ষে নন।
এদিন পাটনায় জল জীবন হরিয়ালি নিয় এই সাইকেল যাত্রার সূচনা করতে গিয়ে অশোক চৌধুরী বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট। তা সবাই সংসদেই দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু এনআরসি নিয়ে জেডিইউ-এর অবস্থান পরিষ্কার। বিহার তা প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না।
এনআরসি হবেই, দাবি বিজেপির
যদিও এরই মধ্যে বিহার থেকে লোকসভায় যাওয়া বিজেপির মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, এনআরসি বিহার সহ সারা দেশেই প্রয়োগ করা হবে।
ফের সম্পর্ক খারাপের দিকে
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এনডিএ-র দুই শরিকের সম্পর্ক ফের খারাপের দিকে যেতে চলেছে। কেননা রাজনৈতিক প্রতিপত্তির পাশাপাশি এনআরসি অনেকটাই বিজেপি ও জেডিইউ-এর বেঁচে থাকা লড়াইয়ের মতো। কেউই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না।
প্রশান্ত কিশোরের 'পরামর্শে' সুর বদল
২০২০-তে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। সেই কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে নীতীশ কুমারকে। প্রসঙ্গত প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে দলে টানাপোড়েন তৈরি হওয়ার পরে শনিবার বৈঠকে বসেছিলেন জেডিইউ-এর দুই শীর্ষ নেতা। নীতীশ-প্রশান্তের বৈঠকে, প্রশান্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উদ্দেশ্য বলেন নীতীশ কুমারকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রশান্ত কিশোর নীতীশ কুমারকে বলেছেন, নাগরিকপঞ্জীর জন্যই আনা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এনআরসি হলে রাজ্যের গরিব মানুষ অসুবিধায় পড়বেন। আর সেই জন্যই নীতীশের সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন এনআরসিতে সায় নেই নীতীশের।