১০ হাজারের বেশি কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ২০১৮ সালে, এনসিআরবি-র রিপোর্ট প্রকাশ
কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালে কৃষী ক্ষেত্রে কর্মরত মোট ১০, ৩৪৯ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।
কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে অবশেষে রিপোর্ট পেশ করল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালে কৃষী ক্ষেত্রে কর্মরত মোট ১০, ৩৪৯ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। এর আগে দীর্ঘ তিন বছর পর গতবছর ২০১৬ সালের তথ্য প্রকাশ করেছিল এনসিআরবি। সেই সংখ্যা থেকে ২০১৮ সালের আত্মহত্যার সংখ্যা কমলেও তা আশঙ্কাজনক পর্যায়তেই রয়ে গিয়েছে। দেশে মোট আত্মহত্যার ঘটনার এটি ৭.৭ শতাংশ।
আত্মহত্যার নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র, তৃতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ
রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী কৃষক আত্মহত্যার নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ু। এর আগে গতবছর বর্ষাকালীন অধিবেশনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে ২০১৬ সালে ১১,৩৭০ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। তবে তারা জানিয়েছিল এনসিআরবি রিপোর্ট তখনও প্রকাশিত না-হওয়ায়, এই তথ্য চূড়ান্ত নয়। এদিকে ২০১৮ সালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে মোট ১,৩৪,৫১৬টি। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আত্মহত্যা করেছে ১৭,৯৭২ জন। তামিলনাড়ুতে সেই সংখ্যা ৩১,৮৯৬ ও পশ্চিমবঙ্গে সেটি ১৩,২৫৫।
গতবছরই ২০১৬ সালের তথ্য প্রকাশ পায়
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অন্তর্গত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রকাশিত রিপোর্টের তথ্যে জানা জাচ্ছে যে ২০১৬ সালে ভারতে মোট ১১,৩৭৯ কৃষক আত্মহত্যা করেন। অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে ৯৪৮ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। আর দিনে গড়ে ৩১ জন কৃষক নিজের প্রাণ দিয়েছেন। এর আগে শেষবার কৃষক আত্মহত্যার তথ্য প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালে।
দুই দশকে ৩ লক্ষ কৃষক আত্মহত্যা করেন
১৯৯৫ থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। সেই সময় থেকে ২০১৬ পর্যন্ত, গত দুই দশকে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজারের বেশি কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। অবশ্য সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে কৃষক আত্মহত্যার কোনও কারণ উল্লেখ করা নেই। তবে ২০১৬ সালে কৃষক মৃত্যু ২০১৪ ও ২০১৫ সালের নিরিখে কম বলে জানা গিয়েছে। ২০১৪-তে ১২,৩৬০ জন এবং ২০১৫-তে ১২,৬০২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০১৬-তে সেই সংখ্যা ১১,৩৭৯।
যেই সব কারণে কৃষকরা বেছে নেন মৃত্যুর পথ
বিশেষজ্ঞদের মতে কৃষক আত্মহত্যার কারণগুলির অন্যতম, সময়মতো কৃষিঋণ শোধ দিতে না পারা, ফসলের ফলন আশানুরূপ না হওয়া, আবহাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়া, সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের অভাব এবং খরাজনিত পরিস্থিতি। প্রসঙ্গত, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী।
পড়ুয়াদের খেলাধুলোয় উৎসাহিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ উদ্যোগ