এনসিপি কর্মীরা আমাকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান, দাবি অজিত পাওয়ারের
সরকার গঠনের ১১ দিন পরেও মহারাষ্ট্রে মন্ত্রক বন্টণ করা সম্ভব হয়নি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনার দুই জন করে বিধায়ক মন্ত্রী হিসাবে সপথ নিয়েছিলেন। তবে উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে একটা টানাপোড়েন থাকায় মন্ত্রীদের মন্ত্রক দেওযা হয়নি। মন্ত্রিসভা বাড়ানোরও কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি। এদিকে এরই মাঝে এনসিপির শরদ পাওয়ারের নতুন দাবি যে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইচছেন দলের কর্মীরা।
ফের মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে চোরাস্রোত?
এদিকে ফের একবার মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে উথালপাতালের আশঙ্কার চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে। আর এই আশঙ্কা-জল্পনার সূত্রপাত এক বিয়েবাড়ির আসর ঘিরে। বিজেপি সেনাপতি দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও এনসিপির সেকেন্ড ইন কমান্ড অজিত পাওয়ারকে সেখানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। কয়েকদিন আগই একটি রাজকীয় বিয়ের আসরে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সেনাপতি দেবেন্দ্র ফড়নবীশের পাশে বসতে দেখা যায় এনসিপির অজিতকে।
শিবির বদলেও দেবেন্দ্র প্রীতি
প্রসঙ্গত, এনসিপিতে কাকা শরদের শিবির ছেড়ে বেরিয়ে মহারাষ্ট্রে রাতারাতি বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়ার উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছিল অজিতকে। যদিও পরে বিজেপির হাত ছেড়ে দেন তিনি। এরপর একবার ফের অজিত-দেবেন্দ্রকে পাশাপাশি ফ্রেমবন্দি হতে দেখেই জল্পনা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। দুই নেতাকে পাশাপাশি বসে আলোচনা ও কথা বলতেও দেখা যায়।
দলে ফিরে স্থান দখল করেন অজিত
এর আগে ২৩ নভেম্বর সবাইকে অবাক করে ফড়নবিশের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন অজিত পাওয়ার। এরপরেই সেদিন সন্ধ্যায় এনসিপির তরফে তাঁকে দলের পরিষদীয় দলনেতা পদ থেকে অপশারিত করা হয়। এরপর জয়ন্ত পাটিলকে বানানো হয় এনসিপির পরিষদীয় দলনেতা। তবে দলে ফিরে এলে তাঁকে ফের পরিষদীয় দলনেতা করা হয়। তবে ২৭ নভেম্বর শপথ নেওয়া ৬ মন্ত্রীর মধ্যে নাম ছিল না তাঁর। ত সত্ত্বেও শপথের পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেখা গিয়েছিল তাঁকে যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।