দিল্লির পর মুম্বই, কৃষকদের 'লাল ঝড়' বাণিজ্যনগরীতে! সমর্থনে পথে শরদ পাওয়ারও
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হতে মহারাষ্ট্রের ২১টি জেলা থেকে ট্রাক্টর, বাইক, গাড়ি নিয়ে রওনা দিল কৃষকরা। দলে সামিল সাধারণ মানুষও। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার কৃষক নাসিকে জড়ো হয়েছেন। সাধারণতন্ত্র দিবসে আজাদ ময়দানে সমাবেশের আগে মুম্বইয়ের ১৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। এমনকী এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারও এই সমাবেশে অংশ নেবেন বলে খবর।

কৃষক সভার ব্যানারে জড়ো হয়েছেন কৃষকরা
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ছোটো ইউনিয়ন থেকে আসা এবং সর্বভারতীয় কৃষক সভার ব্যানারে জড়ো হওয়া কৃষকরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুম্বই পৌঁছে যাবেন। প্রচণ্ড ঠান্ডায় দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে দিনকয়েক আগেই শরদ পওয়ার কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কৃষকদের মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়া হলে পরিণতি খারাপ বলেও কেন্দ্রকে সতর্ক করেছিলেন।

দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিলের ডাক
এদিকে ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিলের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। রিং রোডের কাছে এই মিছিলে এক হাজারেরও বেশি ট্রাক্টর অংশ নেবে। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতিও। সাধারণতন্ত্র দিবসে 'কিষান গণতন্ত্র প্যারেড'-এ অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই অভিযান শুরু করেছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। তিকরি সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানের কৃষকদের ট্র্যাক্টর। ২৩ থেকে ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য সারা দেশের কৃষকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে 'সংযুক্ত কিষান মোর্চা'।

প্রধানমন্ত্রীর মায়ের কাছে আবেদন এক কৃষকের
এদিকে এবার আর কেন্দ্র সরকারের কাছে আর্জি নয়৷ কেন্দ্রের নয়া তিনটি কৃষি আইন প্রত্য়াহার করতে, এবার প্রধানমন্ত্রীর মায়ের কাছে আবেদন পাঞ্জাবের এক কৃষকের৷ হরপ্রীত সিং নামে ওই কৃষক তাঁর চিঠিতে প্রায় একশো ছুঁই ছুঁই হীরাবেন মোদিকে লিখেছেন, মা হিসেবে ছেলে বোঝান, দেশের কৃষকদের কথা ভেবে নয়া তিনটি কালা কৃষি আইন যেন প্রধানমন্ত্রী প্রত্য়াহার করে নেন৷

কৃষি আইনের বিরোধিতায় সিংঘুতে বিক্ষোভ
গত বছর ২৬ নভেম্বর থেকে নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় সিংঘুতে বিক্ষোভ চালাচ্ছেন কৃষকরা। এই নিয়ে জট খুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ১১ দফার বৈঠক হয়ে গেলেও তা নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। তিন কৃষি আইন সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। সাধারণতন্ত্র দিবসে এই কৃষক বিক্ষোভ আরও বড়সড় আকার ধারণ করে যে সরকারের অস্বস্তি বাড়াবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।