২০০২ এর গুজরাতের সঙ্গে দিল্লির তুলনা! নতুন বিতর্ক উস্কে দিলেন নবাব মালিক
ক্রমশ সিএএ বিরোধী ও সিএএ সমর্থকদের মধ্যে চলতে থাকা সংঘর্ষ সাম্প্রদায়িক আকার নিচ্ছে দিল্লিতে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে সবরকম ভাবে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করা হয়েছে দিল্লিবাসীর উদ্দেশ্যে। আক্রান্ত এলাকায় নামানো হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে আনা হয়েছে বিশেষ পুলিশ কমিশনার। এরই মাঝে দিল্লির এই চলমান অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মাহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক।
২০০২ সালে গুজরাতেও এরকম ঘটেছিল
এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালিক বলেন, 'দিল্লিতে ক্রমাগত সহিংসতা চলছে, পুলিশ দাঙ্গাকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের ভূমিকা সন্দেহজনক। জাতীয় রাজধানীর পরিস্থিতি যদি এমন হয় তবে দেশের বাকি অংশে কী হতে পারে। ২০২০ সালে দিল্লিতে যা ঘটছে তা ২০০২ সালে গুজরাতের ক্ষেত্রেও একইরকম দেখা গিয়েছিল। ২০০২ এর গুজরাতের মডেলের মতো একই ধরণের ঘটনা ঘটছে দিল্লিতে।'
অমিত শাহ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না!
নবাব মালিক প্রশ্ন তোলেন, 'প্রশ্ন হল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য কোনও আদেশ দিয়েছেন কিনা। সরকার যদি কেবল দর্শক হিসাবে থেকে যায় তবে দেশে অরাজকতা ছড়িয়ে পড়বে। অমিত শাহকে বলতে হবে যে তিনি দেশে কী বার্তা দিতে চান। আমি মনে করি পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হাত রয়েছে।'
দিল্লিতে হিংসায় এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু
এদিকে দিল্লিতে সিএএ নিয়ে শুরু হওয়া হিংসার রেশ এখনও জারি। এরই মধ্যে নতুন করে মৃত্যুর খবর আসছে দিল্লি থেকে। এই পরিস্থিতিতেই দিল্লিবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে এরই মাঝে খবর পাওয়া যায় যে দিল্লির চাঁদবাগ এলাকার একটি নালা থেকে এক গোয়েন্দা অফিসারের পরিত্যক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দিল্লিতে সিএএ হিংসায় এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম কয়েকশ।
দিল্লিতে মোতায়েন ৩৫ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী
মূলত, দিল্লির মৌজপুর, বাবরপুর, কবিরনগর, পশ্চিম জ্যোতি নগর, গোকুলপুরীর গলিতে এই হিংসার ছবি নজরে পড়েছে বারবার। এহেন পরিস্থিতিতে আগেই কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি পেশ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের মধ্যে দিল্লির সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্পেশাল সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার (ইডাব্লু) তরফ থেকে প্রায় ৩৫ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।