মুকুলের মতোই মহারাষ্ট্রে বিজেপির ‘ত্রাতা’ পাওয়ার, ঘোড়ার চাল দিয়েছেন মোদী-শাহ
মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে লাইফ লাইন দিলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। তিনি মুকুল রায়ের ভূমিকা নিলেন মহারাষ্ট্রে। বিরোধী জোট ভেঙে বিধায়কদের এনে তিনি বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ করতে মুখ্য ভূমিকা নিলেন।
মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে লাইফ লাইন দিলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। তিনি বাংলার মুকুল রায়ের মতোই ভূমিকা নিলেন মহারাষ্ট্রে। বিরোধী জোট ভেঙে বিধায়কদের এনে তিনি বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ করতে মুখ্য ভূমিকা নিলেন। মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শপথ নেওয়ার পর বিজেপির সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে তুরুপের তাস হতে চলেছেন অজিতই।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মুকুল রায়ের পর অজিত পাওয়ার
একইসঙ্গে বিজেপির সমর্থনে ভিড় বাড়ছে সেইসব দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের। অসমে যেমন হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বাংলায় মুকুল রায়, তেমনই মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ার। অসমে কংগ্রেস নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে শক্তি বাড়ান। অসমে পরিবর্তন আনতে সহায়তা বিজেপিকে।
বাংলায় যেমন মুকুল রায়
বাংলায় তেমনই মুকুল রায়। মুকুলের রায়ের বিরুদ্ধে সারদা-নারদার অভিযোগ। সেই অভিযুক্ত মুকুলকে দলে নিয়ে তৃণমূলের কোমর ভেঙে দেওয়ার কাজ করাচ্ছে বিজেপি। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লোকসভা ভোট তৃণমূল কংগ্রেসকে ভেঙে বাংলায় বিজেপির শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন মুকুল রায়।
বিজেপি ভাঙিয়ে নিল এনসিপির অজিত পাওয়ারকে
আর মহারাষ্ট্রে সেই ভূমিকা দিতে বিজেপি ভাঙিয়ে নিল এনসিপির অজিত পাওয়ারকে। অজিত পাওয়ারের সঙ্গে থাকা বিধায়কদের দলে নিয়েই ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে চাইছে বিজেপি। অজিত পাওয়ার সেই ভরসা দিয়েছেন বিজেপিকে। তার বদলেই তিনি পেয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী পদ।
অসম হোক বা বাংলা, কিংবা মহারাষ্ট্র, সর্বত্রই একই ছবি
অর্থাৎ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের এনে বিপক্ষকে ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখলের খেলা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। সে অসম হোক বা বাংলা, কিংবা মহারাষ্ট্র, সর্বত্রই একই ছবি প্রকট হয়ে উঠছে বারবার। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করছে, বিজেপি ক্ষমতায় থাকতে যেমন রাজ্যপালকে ব্যবহার করছে, তেমই বিরোধী শিবিরকে ভাঙতে ঢাল করছে বিপক্ষের দুর্নীতিতে অভিযুক্তে নেতাদের।
বিজেপির সফট টার্গেট
বিজেপি বিরোধীদে্র দাবি, বিজেপির সফট টার্গেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতারা। তাঁদেরকে গারদের ভয় দেখিয়ে, তারপর টাকা ছড়িয়ে সবাইকে কিনে নিতে চাইছে্। ফলে সংখ্যালঘু হয়েও ক্ষমতা দখলের খেলা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। মোট কথা ক্ষমতা দখলই অভীষ্ট হয়ে উঠছে তাঁদের।