এই রাজ্যে বিজেপির জয়ের পথ 'মসৃণ'! রাহুলের দলের বিরুদ্ধেই প্রার্থী মোদী বিরোধী দলের
মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। শেষ পর্যন্ত যদি এনসিপি এইসব আসনে প্রার্থী দেয়, তাহলে সেরাজ্যে কংগ্রেসের ফল খারাপ হবে বলেই মত
মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। শেষ পর্যন্ত যদি এনসিপি এইসব আসনে প্রার্থী দেয়, তাহলে সেরাজ্যে কংগ্রেসের ফল খারাপ হবে বলেই মত রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের একাংশের। সেক্ষেত্রে রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করবে বলেই মত তাঁদের।
ভোপালে মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের এনসিপি সদস্য রাজেন্দ্র জৈন এবং দলের গুজরাত শাখার মুখপাত্র নকুল সিং দলের তরফে ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন। দুই নেতা জানিয়েছেন, তারা সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছেন। ২৩০ টি আসনের মধ্যে তারা ২০০ টি আাসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশে ২৮ নভেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ফল ঘোষণা ১১ ডিসেম্বর।
এনসিপির দুই নেতা জানিয়েছেন, ঋণ মকুব ছাড়াও কৃষকদের বিনামূল্যে জল ও বিদ্যুত দেবেন তারা। তারা আরও প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, বাজারগুলিতে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য মার্শাল নিয়োগ করা হবে।
এনসিপির তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে বিজেপির শাসনে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যের যুবকদের কর্ম সংস্থানের লক্ষে তারা কাজ করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির অধীনের আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনসিপি।
২০১৩-র বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে এনসিপি ৭২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ভোট পেয়েছিল ০.৩ শতাংশ। বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক ধরলে প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল ১ শতাংশের কিছু কম। সব প্রার্থীর জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তবে এনসিপির এই প্রার্থী দেওয়ার ফলে অন্তত ৪ টি আসনে পরাজতি হয়েছিল কংগ্রেস। ওই চার আসনে এনসিপির প্রাপ্ত ভোট ছিল বিজেপির জয়ী হওয়ার পার্থক্যের থেকে বেশি। এরকমই একটি উদাহরণ হল ধার জেলার সর্দারপুর আসন। যেখানে এনসিপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট প্রায় ২২০০। সেখানে কংগ্রেস বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছিল ৫২৯ ভোটে।
২০০৮ সালে রাজ্যে এনসিপি দাঁড়িয়েছিল মাত্র তিনটি আসনে। সবকটি আসনেই জমানত জব্দ হয়েছিল।