আসনরফা চূড়ান্ত কংগ্রেস-এনসিপির, বিজেপিকে টক্কর দিতে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নয়া সমীকরণ
মহারাষ্ট্রে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসনরফা চূড়ান্ত করল কংগ্রেস ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি। কংগ্রেস ও এনসিপি এবার জোট গড়েই বিজেপি ও শিবসেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে।
মহারাষ্ট্রে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসনরফা চূড়ান্ত করল কংগ্রেস ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি। কংগ্রেস ও এনসিপি এবার জোট গড়েই বিজেপি ও শিবসেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে। সেই লক্ষ্যে কংগ্রেস ও এনসিপি নিজেদের মধ্যে আসনগুলি সমবণ্টন করে নিয়েছে। তারা উভয়েই ১২৫টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
আসনরফা কংগ্রেস-এনসিপির
সোমবার এনসিপি প্রধান শারদ পওয়ার জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে এনসিপির আসনরফা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। ঠিক হয়েছে উভয়েই ১২৫টি করে আসনে লড়বে। ২৮৮ আসনবিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বাকি ৩৮ আসন নিয়ে রফা বাকি রয়েছে। শীঘ্রই তাও সম্পন্ন হয়ে যাবে।
জোট সমঝোতার সমীকরণ
কংগ্রেস ও এনসিপির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাকি ৩৮টি আসন তাদের মিত্র শক্তিদের দেওয়া হবে। তাঁদের মিত্র শক্তি চাইলে ওই ৩৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। এদিন টুইট করে এই বার্তাই দিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার।
শারদ-বার্তা ভোটের আগে
তিনি জানান, এবার ভোটে বেশ কিছু নতুন মুখকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেবে এনসিপি। কিছু আসন কংগ্রেসের সঙ্গে বিনিময়ও করা হবে। বৃহত্তর স্বার্থেই তাঁরা স্বার্থত্যাগ করতে প্রস্তুত। অন্য ছোট দলগুলিকেও তাই এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে বিজেপিকে হারানোই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য।
২০১৪ থেকে শিক্ষা
২০১৪ সালে কংগ্রেস ও এসিপি পৃথকভাবে রাজ্য নির্বাচনে লড়াই করেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুটি দলই আসন-সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। তবে এবার আগেভাগেই আসন রফা করে যুদ্ধে নেমে পড়ল তারা।
গতবারের ফল
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ৪২ টি আসন জিতেছিল এবং এনসিপি ৪১ টি আসন জিতেছিল। বিজেপি ১২২টি আসন জিতে রাজ্যের একক বৃহত্তম দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। বাকি আসনের অধিকাংশ গিয়েছিল শিবসেনার পক্ষে।