পরিকল্পিত ভাবেই মহারাষ্ট্রে দলিত আন্দোলন, পিছনে নকশালদের ইন্ধন
মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওতে দলিত আন্দোলনের পিছনে রয়েছে নকশাল ক্যাডাররা। এমনটাই অনুমান তদন্তকারী সংস্থাগুলির। শহুরে নকশাল ক্যাডাররা মহারাষ্ট্রে দলিত আন্দোলনে হাওয়া দেওয়ার পরিকল্পনা ও রূপায়ন করেছে
মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওতে দলিত আন্দোলনের পিছনে রয়েছে নকশাল ক্যাডাররা। এমনটাই অনুমান তদন্তকারী সংস্থাগুলির। শহুর নকশাল ক্যাডাররা মহারাষ্ট্রে দলিত আন্দোলনে হাওয়া দেওয়ার পরিকল্পনা ও রূপায়ন করেছে বলেই অনুমান।
মহারাষ্ট্রে দলিত আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নেওয়ার পর তদন্তে নামে একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। বেশ কিছু কাগজপত্রও উদ্ধার করেন তারা। যার মধ্যে রয়েছে ওয়ালগার পরিষদ সংক্রান্ত কাগজপত্রও। ভীমা-কোরেগাঁও হিংসাত্মক হওয়ার একদিন পুনেতে বৈঠকে বসেছিল নকশালদের সামনে থাকা একাধিক সংগঠন।
তদন্তকারী সংস্থাগুলির দাবি অনুযায়ী, যে কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পুনের শানিওয়ারওয়াদায় ওয়ালগার পরিষদের বৈঠক হয় ৩১ ডিসেম্বর। যাতে অংশ নিয়েছিলেন সরাসরি নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরা। এমন কী, সেখানে ছিলেন পিছন থেকে মদত দেওয়া নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমর্থকরাও।
এরআগেও নকশালরা এই ধরনের আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। অথবা আন্দোলনে তাদের সহামুভূতি প্রকাশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও আন্দোলনে অতিবাম সংগঠনের যোগ থাকার কথা উড়িয়ে দেননি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বহু সংখ্যক বিক্ষোভকারী দলিতদের আন্দোলনকে সামনে রেখে নেমেছিলেন। যার মূল্য লক্ষ্য ছিল সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভীমা-কোরাগাঁও আন্দোলন নিয়ে পুস্তিকাও বিতরণ করা হয়েছে। ওয়ালগার পরিষদে অংশ নিয়েছিল নাগপুরের এক মহিলা সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরাও। যাঁরা নকশালদের সমর্থনকারী সংগঠন হিসেবেই পরিচিত বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মদতের প্রমাণও পেয়েছে বলে দাবি।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে নাগপুরে এই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। এরপরে তা এগিয়ে যায় ভীমা-কোরেগাঁও-এর দিকে। একাধিক তদন্তকারী আধিকারিকের মতে, নকশালরা শহরে এলাকায় যে প্রভাব বাড়িয়েছে তাঁর অনেক প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন।