ছত্তিশগড়ে মাও অধ্যুষিত এলাকায় ভোটে নামছে ৫০টি ড্রোন, হাজার স্যাটেলাইট ট্র্যাকার
ছত্তিশগড়ে বিধানসভা ভোটের আর বেশিদিন বাকী নেই। জোরকদমে চলছে প্রচারের কাজ। তবে মাও অধ্যুসিত এলাকায় কড়াকড়ি একটু বেশিই।
ছত্তিশগড়ে বিধানসভা ভোটের আর বেশিদিন বাকী নেই। জোরকদমে চলছে প্রচারের কাজ। তবে মাও অধ্যুষিত এলাকায় কড়াকড়ি একটু বেশিই। বিশেষ করে সুকমা জেলায় বেজি গ্রামে বেঁচে থাকাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ যেকোনও সময় মাওবাদীরা আক্রমণ করতে পারে। যারা নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্য করছেন তাদের পক্ষে জীবন অক্ষত রাখা অবশ্যই কঠিন কাজ।
কয়েকবছর আগেও এখানকার বস্তার এলাকার মানুষ দলে দলে গ্রাম ছেড়ে অন্য গ্রামে চলে গিয়েছেন। বছরের পর বছর থেকেছেন। কেউ কেউ সীমান্ত পেরিয়ে কাজের ও একটু নিশ্চিন্ত জীবনের খোঁজে অন্ধ্রপ্রদেশে চলে গিয়েছেন।
তবে এখন আগের চেয়ে অবস্থা অনেক ভালো। মাওবাদীদের রমরমা অনেক কমেছে। আগে যারা গ্রাম থেকে পালিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৮৫টি পরিবার ফিরে এসেছে। এবার পরিবার আরও নিরাপত্তা পাবে এলাকায়, এমনই মনে করছেন সকলে।
অন্যান্যবার বুথ তৈরি হলেও গ্রামবাসীরা ভয় হোক বা অন্য যেকোনও কারণ হোক, ভোট দিকে আসেননি বা পারেননি। বুথগুলি ফাঁকা থেকেছে। তবে এবার যাতে এমন অবস্থা না হয় তা প্রশাসন নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
[আরও পড়ুন: বর্ণ বিদ্বেষের বিভেদ মুছল এক লহমায়! ভাইরাল ভিডিওয় মানবতার বার্তা]
এই এলাকায় নকশালদের দাপট কমলেও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। ২০১৭ সালের মার্চে ১২ জন সিআরপিএফ নিহত হন। পরের মাসে ২৫জন জওয়ানকে মাওরা হামলা চালিয়ে হত্যা করে। এখন নির্বাচন আসায় ফের এই এলাকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ৫০০ কোম্পানি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে। সবমিলিয়ে মোট ১ হাজার কোম্পানি সেনা এই এলাকায় টহল দেবে। পাশাপাশি ৫০টি ড্রোন দিয়ে এলাকায় নজরদারি চলবে।
[আরও পড়ুন:শরিকদের জন্য 'বলিদান'! মহাজোটে রাজ্যে ২০-২০ ফর্মুলা চায় রাহুলের দল]
আগের নির্বাচনে ২০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৮টি আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছে। এবারও নকশালদের হুঁশিয়ারি রয়েছে। ফলে বহু বুথের জায়গা বদল হচ্ছে। কারণ এর আগে বিজাপুর, সুকমা, দান্তেওয়াড়ার মোট ৫৩টি বুথে ২০১৩ সালের নির্বাচনে একটিও ভোট পড়েনি। বিজাপুরে ৩২টি, সুকমায় ১৫টি ও দান্তেওয়াড়ায় ৬টি বুথে এমন ঘটেছে। এবার সেটা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতেই কোমর বেঁধে নেমেছে সরকার।
[আরও পড়ুন:লুকিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না! জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু এসআই-এর]