ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলা, নিহত রাজ্য পুলিশ কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা সরকারের
ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলা, নিহত রাজ্য পুলিশ কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা সরকারের
শনিবার ছত্তিশগড়ের বস্তারে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২২ জন নিরাপত্তা রক্ষী। সোমবার রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছেন যে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই রাজ্য পুলিশের যে সব কর্মীরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে নুন্যতম আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৮০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাজ্যের বস্তার জেলার জোনগুডায় নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই শুরু হয়। নিহত হন ২২ জন নিরাপত্তা কর্মী ও আহত হয়েছেন ৩১ জন। এই মাও হামলা ফিরিয়ে আনল ২০১০ সালে হওয়া দান্তেওয়াড়ার ভয়ঙ্কর স্মৃতি। যেখানে নিহত হয়েছিলেন ৭৬ জন নিরাপত্তা রক্ষী।
নিহতের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি
ছত্তিশগড় সরকার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি নিহতের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শনিবার সুকমা ও বিজাপুর জেলার সীমান্তে ও জোনাগুডা ও তেকলগুডা গ্রামে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলির লড়াইয়ে নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৪ জন রাজ্য পুলিশ বাহিনীর কর্মী।
নিহত ১৪ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী
এই নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৮ জন জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং ৬ জন স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এ কাজ করতেন এবং বাকি ২ জন ছত্তিশগড় পুলিশের মাওবাদী-বিরোধী শাখায় কর্মরত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল তাঁর অধীনস্ত আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে এবং নিহতদের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন যে বিশেষ ক্ষতিপূরণ ও শহিদ সম্মান নিধি সহ বিভিন্ন প্যাকেজে নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ৮০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হবে।
আর্থিক সহায়তা নিহত সিআরপিএফ কর্মীদের
এছাড়াও মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদেরও সরকারের পক্ষ থেকে ৪৫.৪০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যান্য সহযোগিতা ও সিআরপিএফ পরিবারের একজন করে সদস্যের সরকারি চাকরি এগুলি সবই পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশে করা হবে। সিআরপিএফ তাদের আটজন কর্মীকে হারিয়েছে, যার মধ্যে ৭ জন কোবরা বাহিনীর ও একজন জওয়ান বস্তার ব্যাটেলিয়ান থেকে ছিলেন।
মাওবাদী–সিআরপিএফ সংঘর্ষ
শনিবার নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। যা তিন ঘণ্টা অব্যাহত ছিল। গুলির লড়াই থামলে প্রথম পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন উদ্ধার হয় ১৭টি নিথর দেহ। এদিন সংঘর্ষের পর মাওবাদীরা নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছ থেকে ২ ডজনেরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করে। জোনগুডার বনের ভিতরে সংঘর্ষ বেঁধে ছিল। এই অরণ্যাঞ্চলটি বস্তার ও বিজাপুর ও সুকমা জেলার সীমান্তে অবস্থিত। এখানে মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।
ভোটের মুখে আয়কর তল্লাশি, তামিলনাড়ুতে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারবে এআইএডিএমকে-বিজেপি?