চাপে পড়ে ভোল বদল! সেনাবাহিনীকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ পাক প্রশাসনের
নয়াদিল্লি, ৬ অক্টোবর : অবশেষে চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তান সরকার সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিল সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যম এমনটাই তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও কূটনৈতিক বিশেষঞ্জদের মতে পকিস্তান একপ্রকার চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্ত কতখানি কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
কাশ্মীরের উরিতে সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল সারা বিশ্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশগুলি উরি হামলার পরে পাকিস্তানকে একাধিক বার সতর্ক করে কড়া বার্তা শুনিয়েছিল। প্রথম দিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে চিন তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছে। পরবর্তীতে চিন সেই দাবি খারিজ করে দেওযার পরে আরও বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বুধাবার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ একটি গোপন বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই তিনি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। জানা গিয়েছে বুধবারের গোপন বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিদেশ সচিব, এবং পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর শীর্ষকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকের পর মুম্বই হামলার তদন্তের বিষয়েও পাকিস্তান ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
এই খবর যখন প্রকাশিত হয়েছে সেই সময়েও ভারেতর সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা থেমে নেই। বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় সেনা ক্যাম্পে অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে ৩ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল অ্যাটাকের পর থেকে সীমান্তে প্রতিনিয়ত জঙ্গি হামার ঘটনা ঘটে চলেছে। এর মধ্যে পাকিস্তান সরকারের সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভোলবদল। তবে পাক সরকারের আভ্যন্তরিন সিদ্ধান্ত বাস্তবে কতখানি কার্যকর করা হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।