দাউদের প্রয়াত বোন হাসিনাকে ৫৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন নবাব! ইডির হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
আর্থিক প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এনসিপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক। আজ বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় জেরা করা হয় তাঁকে। আর এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে
আর্থিক প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এনসিপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক। আজ বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় জেরা করা হয় তাঁকে। আর এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। আর তা নিয়েই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী। আর সে বিষয়ে জেরার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
ইডি সুত্রে খবর, জেরায় কোনও রকম সাহায্য করেননি নবাব মালিক। এমনকি বেশ কিছু প্রশ্নেরও উত্তর নাকি দিতে চাননি তিনি। কার্যত তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এমনটাই ইডি সূত্রের খবর।
এক সংবাদমাধ্যমকে ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশ কিছু লেনদেন থেকে মনে করা হচ্ছে বেশ কিছু হাওয়ালা যোগ ছিল মালিকের। শুধু তাই নয়, আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও দাউড ইব্রাহিম এবং তাঁর ভাই ইকবাল কাসকারের সঙ্গে যোগযোগের প্রমাণ রয়েছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার কাছে। দুজনের মধ্যে জমি নিয়ে কি ডিল হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করছে ইডি।
পাশাপাশি দাউদের প্রয়াত বোন হাসিনা পারকারের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাসিনা পারকারকে ৫৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন নবাব মালিক। আর তা দিয়েছিলেন একেবারে অবৈধ ভাবে একটি জমি নেওয়ার জন্যে। জানা গিয়েছে, ওই জমি ছিল মুনিরা প্লাবরারে। আর যে বিপুল পরিমান যে টাকার লেনদেন হয়েছে তাতে দাউদের টাকা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে নবাব মালিককে এই বিষয়ে আরও জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, এই খবর পাওয়ার পরেই এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারকে (Sharad pawar) ফোন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। প্রতিবাদে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য ১৯৯৩-এ মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় নবাব মালিকে বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। দাউড ইব্রাহিম, তার ভাই আনিস, ইকবাল, সহযোগী ছোটা শাকিল এবং অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ছিল নবান মালিকের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও নবাব মালিকের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের সহযএাগী সর্দার শাসভালি খান এবং হাসিনা পার্কারের দেহরক্ষী সালিম প্যাটেলের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও ইডির স্ক্যানারে ছিল।