দেহ উদ্ধার অসম্ভব! মেঘালয়ের খনিতে উদ্ধার কাজ বন্ধ করল নৌবাহিনী
মেঘালয়ের খনিতে থাকা শ্রমিকদের পচাগলা দেহ উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দিল ভারতীয় নৌসেনা।
মেঘালয়ের খনিতে থাকা শ্রমিকদের পচাগলা দেহ উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দিল ভারতীয় নৌসেনা। দিন চারেক আগে এক শ্রমিকের দেহ চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু তা তুলে আনতে গিয়ে খসে যায় দেহে বিভিন্ন অংশ। শেষ পর্যন্ত সেই দেহাংশও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জানিয়েছেন মেঘালয়ের ইস্ট জয়ন্তিয়া হিল ডিস্ট্রিক্ট-এর আধিকারিকরা।
তোলা যাচ্ছে না দেহ
বুধবার
নৌসেনার
উদ্ধারকারী
দল
এক
শ্রমিকের
পচাগলা
দেহ
লক্ষ্য
করেছিলেন।
রিমোট
অপারেটেড
ভেহিকেলের
মাধ্যমে
প্রায়
১৬০
ফুট
নিচে
এই
শ্রমিকের
দেহ
চিহ্নিত
করা
হয়েছিল।
সেই
দেহের
ভিডিও
তোলার
পরে
সেখানে
১৫
টি
পরিবারকেই
ডেকে
পাঠানো
হয়েছিল
দেহটিকে
চিহ্নিত
করার
জন্য।
যদিও
পরে
তা
আর
তোলা
সম্ভব
হয়নি
বলেই
জানা
গিয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর দুর্ঘটনা
ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ থেকে ওই খনিতে আটকে ছিলেন কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিক। দুর্ঘটনাবশত খনির একটি দেওয়ার ফুটো করে ফেলেছিলেন এক শ্রমিক। তারপর সেখান দিয়েই জল ঢুকতে থাকে।
উদ্ধার কাজ বন্ধ করেছে নৌবাহিনী
রবিবার উদ্ধারকারী দলের তরফে মুখপত্র আর সাসঙ্গি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, খনিতে উদ্ধারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সরকারের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
শেষকৃত্যের জন্য দেহ তোলার দাবি
নিখোঁজ থাকা ১৫ শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা শনিবার আবেদন করেছিলেন, তাদের কাছের জনের দেহ পচে গেলেও যেন উদ্ধার করে দেওয়া হয়। যাতে তাঁরা শেষকৃত্য করতে পারেন।
বহু সংস্থার চেষ্টা ব্যর্থ
বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে গঠিত উদ্ধারকারী দল খনিতে জলের মাত্রা কোনও ভাবেই কমাতে পারেনি। ফলে উদ্ধার কাজ একরকম বাধা পেয়েছে।
কোল
ইন্ডিয়ার
তরফে
৪৬
ঘন্টা
পাম্প
চালিয়ে
৫২
লক্ষ
লিটার
জল
বের
করলেও,
তা
যথেষ্ট
নয়।
এর
ফলেই
উদ্ধার
কাজে
বাধা
তৈরি
হয়।
কির্লোস্কার
ব্রাদার্স
লিমিডেট
উদ্ধার
কাজে
হাত
লাগিয়েছিল।
তারা
৪৫
লক্ষ
লিটার
জল
বের
করতে
সক্ষম
হয়েছিল।
অন্যদিকে
ওড়িশা
ফায়ার
সার্ভিসও
৪.৫
লক্ষ
লিটার
জল
বের
করেছে।
অন্যদিকে, মেঘালয় সরকারের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধার কাজে বাধার বিষয়টি জানানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।