চাপের মুখে পিছু হটল ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, বাতিল হয়ে গেল নবরাত্রির নির্দিষ্ট ‘ড্রেস-কোড’
চাপের মুখে পিছু হটল ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, বাতিল হয়ে গেল নবরাত্রির নির্দিষ্ট ‘ড্রেস-কোড’
কর্ণাটকের মন্দিরে মহিলাদের ড্রেস কোড নিয়ে কয়েকদিন আগেই হয় তুমুল হইচই। এদিকে কয়েকদিন আগেই ইউনিয়ন ব্যাঙ্কও তাদের কর্মীদের জন্য নবরাত্রিতে নির্দিষ্ট ড্রেস কোড জারি করেছিল। কিন্তু তা নিয়ে শুরু হয় প্রবল হইচই। সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। এমতাবস্থা এবার প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে এই সার্কুলার প্রত্যাহার করে নেয় ব্যাঙ্ক।
চাপের মুখে পিছু হটল ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক
সহজ ভাবে বলতে গেলে সম্প্রতি ইউিয়ন ব্যাঙ্ক তাঁর কর্মীদের নয় দিনের নবরাত্রি উদযাপনের জন্য কালার কোঅর্ডিনেটেড ড্রেস কোড অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছিল, আদেশ লঙ্ঘনকারীদের ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও করা হবে। এদিকে এই নির্দেশিকা জারি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয় ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়ন। তীব্র নিন্দা জানানো হয় বিভিন্ন মহল থেকেই। ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সরকারি ক্ষেত্রে এই ধরণের নির্দেশিকা কিভাবে জারি হতে পারে সেই প্রশ্নও উঠতে থাকে।
কেন শুরু হল বিতর্ক
এমনকী কর্মচারী ইউনিয়নের তরফে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এমনকী ব্যাঙ্ক ম্যানেজমেন্টকে একটি চিঠি লিখে তাদের আদেশ প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। এদিকে ১ অক্টোবরের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, "নবরাত্রির শুভলগ্ন উপলক্ষে ব্যাঙ্কে কর্মরত সকল কর্মী এবং অংশীদারদের দিনভিত্তিক কালার কোড মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট রং না মানলে জরিমানা করা হবে।" এই নির্দেশিকা সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক।
ঠিক কী বলা হয়েছিল নির্দেশিকায়
মুম্বাইয়ে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ডিজিটাইজেশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার এ আর রাঘবেন্দ্রের তরফেই এই নির্দেশিকা জারি হয় বলে বলে জানা যায়। 'নবরাত্রি উৎসব এবং ড্রেস কোড' নামে একটি বিজ্ঞপ্তি তার হাত ধরেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। নয় দিনের নবরাত্রি উদযাপনে হলুদ, সবুজ, ধূসর, কমলা, সাদা, লাল, নীল, গোলাপী এবং বেগুনি রংয়ের পোশাক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। এমনকী প্রতিদিন ব্যাঙ্ক কর্মীদের একটি গ্রুপ ফটো সেশন করা হবে বলেও উপর মহলের তরফে জানানো হয়।
কী বলছে অল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন ব্যাংক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন
এই নির্দেশিকা জারি হতেই মাঠে নামে অল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন ব্যাংক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। কড়া ভাষায় চিঠি লেখা হয় ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াকে। ওই চিঠিতেই লেখা হয় "নবরাত্রি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ধর্মীয় উৎসব। সরকারী ব্যাঙ্ক সমাজের একটি ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর জন্য সমাদৃত। সেখানে সকল ধর্মের মানুষ আসেন। তাই সরকারি ভাবে কাউকে এই ধরণের কিছু করতে বাধ্য করা যায় না। যে কেউ যেকোনো উৎসব পালন করতে পারেন স্বেচ্ছায়। এতে কোন নির্দেশনা এবং কোন জরিমানা আরোপের কোনও মানে হয় না।"
প্রতীকী ছবি