কর্ণাটকের পর পাঞ্জাবেও কংগ্রেস সরকার বিপাকে! মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ সিধুর
পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। এমনই চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিেয়ছে অমরিন্দরের সঙ্গে তিক্ততা যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু।
পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। এমনই চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিেয়ছে অমরিন্দরের সঙ্গে তিক্ততা যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। ১০ জুনই নিজের পদত্যাগ পত্র রাহুল গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই পদত্যাগ পত্রের একটি ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইটও করেছেন সিধু। তারপরেই খবরটি প্রকাশ্যে আসে।
অমরিন্দর-সিধুর দ্বন্দ্ব
লোকসভা ভোটের আগে থেকেই অমরিন্দর-সিধুর দ্বন্দ্বে সরগরম থেকেছে পাঞ্জাবের রাজ্য রাজনীতি। অমরিন্দর িসং একক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে সরিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন সিধু। এই নিয়ে চরমে উঠেছিল বিতর্ক। সিধুর স্ত্রীকে লোকসভা ভোটের টিকিট না দেওয়ার জন্য অমরিন্দরকেই পাল্টা দোষারোপ করেছিলেন সিধু। দুই নেতার টানাপোড়েনের মধ্যস্থতায় শেষে এগিয়ে এসেছিলেন রাহুল গান্ধী নিজেই।
শুরু থেকেই আপত্তি
বিজেপি থেকে সিধুকে দলে নেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল অমরিন্দরের। সেই রাগ দিনে দিনে বেড়েছে। একাধিক বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে দুই নেতার। সিধু একটা সময় দাবি করে বসেন তিনি পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান হতে চান। রাহুল সে দাবি না মানলেও তাঁকে মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী করার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
বিরোধিতা সিধুরও
সেই মতোই লোকসভা ভোটের পর পাঞ্জাব মন্ত্রিসভার রদবদল করা হয়। তাতে সিধুকে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়। কিন্তু সিধুর সেই দফতর পছন্দ হয়নি। তিনি সরাসরি সেই দফতরের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।