মোদীর দিকে পা বাড়িয়ে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী! ভোটের মাঝেই মিলল ‘গোপন রফা’র আভাস
বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও, এবার প্রায় সমস্ত সমীক্ষা রিপোর্টই এগিয়ে রেখেছে এনডিএকে। বিজেপিরি নেতৃত্বেই সরকার বলে আভাস দিয়েছিল প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষাগুলি।
বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও, এবার প্রায় সমস্ত সমীক্ষা রিপোর্টই এগিয়ে রেখেছে এনডিএকে। বিজেপিরি নেতৃত্বেই সরকার বলে আভাস দিয়েছিল প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষাগুলি। আর তা-ই যদি হয়, ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে অন্য দলের সমর্থনের জন্য যে হাপিত্যেশ করতে হবে না, তার জানান দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক সাফ জানিয়ে দিলেন, আদর্শগত প্রশ্নে ফারাক থাকতে পারে, কোনও রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনোত্তর পর্বে সরকার গঠনে সমর্থন দিতে তিনি কুণ্ঠা বোধ করবেন না। তবে তার জন্য, ওড়িশার উন্নয়নের জন্য দাবিগুলি মেনে নিতে হবে। ওড়িশার জন্য তিনি যে কোনও দলকে সমর্থন করতে পারেন।
বিজু জনতা দল বা বিজেডি বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থান জারি রেখেছে বিজেপি বা কংগ্রেস থেকে। এবারের নির্বাচনের আগে মোদী ও মোদী বিরোধী জোট নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে মহাজোট নাকি ফেডারেল ফ্রন্ট তা নিয়ে কম শব্দ খরচ হয়নি। নির্বাচন শুরু হতেই কিন্তু নির্বাচনোত্তর সমীকরণ তৈরির চেষ্টা চলছে।
নবীন পট্টনায়কও যে তার ঊর্ধ্বে নয়, তা জানিয়ে দিলেন এদিন। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা, বহিরাগত নিরাপত্তা, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং হিন্দুত্ববাদী মনোভাব নিয়ে বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা বিচার করার আগে গুরুত্ব দেবেন ওড়িশার স্বার্থকেই।
এই মর্মে রাজনৈতিক মহলের একাংশ যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর গোপন বোঝাপড়া রয়েছে বলে ব্যাখ্যা করেছে, তেমনই একটা পক্ষ মনে করছে এটা নবীন পট্টনায়কের মস্ত চাল। লোকসভার সঙ্গেই ওড়িশা বিধানসভার ভোট হচ্ছে। ওড়িশায় পের সরকার গড়ার লক্ষ্যে তিবিন ওড়িশার স্বার্থকেই সবার আগে দেখিয়ে ফায়দা তুলতে চাইছেন।