রাজনীতি হোক জনগণের হিতে! কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে পথ দেখালেন নবীন পট্টনায়েক
রাজনীতিতে হর-হমেশাই শোনা যায় 'দল বিরোধী' কার্যকলাপের জন্য অমুক নেতাকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে 'জনসাধারণ বিরোধী' কার্যকলাপের জন্য কোনও নেতাকে দল থেকে তাড়ানো হয়েছে। শুনেছেন কখনও? রাজনৈতিক ময়দানে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে পথ দেখালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দলের সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক।

জানা গিয়েছে ওড়িশার গোপালপুরের বিধায়ক তথা গঞ্জম জেলায় বিজেডির জেলা সভাপতি প্রদীপ পানিগ্রাহীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে 'জনসাধারণ বিরোধী' কার্যকলাপের জন্য। জানা গিয়েছে করোনা আবহে যখন লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার সন্ধানে হাহাকার করছিলেন, সেই সময় গঞ্জমের নেতা পানিগ্রাহী চার্টার্ড প্লেনে করে মুম্বই, পুণে গিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছিলেন।
আর পানিগ্রাহীর এই বিলাসবহুল জীবন যাপনের জেরেই তাঁর ঘাড়ে এই কোপ পড়ল দলের। আরও জানা গিয়েছে, গঞ্জম জেলার বেকার যুবকদের থেকে ঘুষ নিচ্ছিলেন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে। এই কাজে ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের অফিসারদেরও কাজে লাগাচ্ছিলেন পানিগ্রাহী। এই সব বিষয়ের খোলসা হতেই দল গোপালপুরের বিধায়কের মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে নেয়।
পানিগ্রাহীকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে বিজেডির মুখপাত্র লেনিন মোহান্তি বলেন, 'যখন মানুষ অসহায় ভাবে হাহাকার করছিল তখন পাঠক নামক এক দুর্নীতিগ্রস্থ আধিকারিকের সঙ্গে মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে গিয়ে ৮৪ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন পানিগ্রাহী। তাঁদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারও ছিল সেখানে। এই কাজ জনসাধারণ বিরোধী।' নবীন পট্টনায়েককেও এই ইস্যুতে 'জনসাধারণ বিরোধী' শব্দবন্ধটি ব্যবহার করতে শোনা যায়।

এবার বঙ্গ রাজনীতির ক্রিজে নামবেন কলকাতার মন জয় করা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক