করোনায় দেশে কারা কম সংক্রমিত, কাদের ঝুঁকি কম, সিএসআইআর-এর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
দেশে আটমাসের মধ্যে করোনায় (coronavirus) সব থেকে কম মৃত্যু। অন্যদিকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে টিকাকরণের (corona vaccine) কাজ। সেই পরিস্থিতিতে সিএসআইআর-এর (csir) এক গবেষণা সামনে এসেছে। করোনা যে সবার ওপর সমান ভাবে প্রভাব ফেলছে তা নয়, এর রকম ফেরও রয়েছে। সেটাই নিজেদের গবেষণায় তুলে ধরে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা।

কম ঝুঁকির তালিকায় যাঁরা
গবেষণায় উঠে এসেছে ধূমপায়ী এবং নিরামিষাশীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কম ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা এঁদের ক্ষেত্রে কম সেরোপজিটিভিটি লক্ষ্য করা গিয়েছে। করোনা মূলত শ্বাসতন্ত্রের রোগ হলেও ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে তা প্রতিরক্ষার মতো কাজ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এব্যাপারে ফ্রান্স, ইতালি, নিউ ইয়র্ক এবং চিন থেকে একই ধরনের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার কম।
গত বছরের জুলাইয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, ধূমপায়ীরা করোনা আক্রান্ত বেশি হতে পারেন। কেননা তাঁদের ক্ষেত্রে হাত বেশিবার মুখে যাচ্ছে। এছাড়াই তামাকজাত দ্রব্য শ্বাসতন্ত্রকে ক্ষতি করে বলেও সতর্ক করা হয়েছিল।

ও পজেটিভের ব্যক্তিরাও কম ঝুঁকিপূর্ণ
এই গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যাঁদের ব্লাড গ্রুপ ও পজেটিভ তাঁরাও করোনা আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কম ঝুঁকিপূর্ণ। সেক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যাঁদের ব্লাড গ্রুপ বি এবং এবি তাঁরা তুলনায় অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

সেরোপজেটিভিটি বেশি যাঁদের
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা গণ পরিবহণ ব্যবহার করেন, যারা নিরাপত্তার কাজ করেন, হাউজ কিপিং-এর কাজ করেন, অধূমপায়ী, নিরামিষাশী নন তাঁদের সেরোপজেটিভিটি বেশি।

সিএসআইআর-এর গবেষণা
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে সিএসআইআর-এর গবেষণা কেন্দ্র। সারা দেশের প্রায় ৪০ টি কেন্দ্রে১০, ৪২৭ টি স্যাম্পেল নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। এব্যাপারে নিজেদের সংস্থায় কাজ করা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বেছে নিয়েছিল সিএসআইআর। করোনার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি জানতেই এই গবেষণা চালানো হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ১০৫৮ জন (১০.৫৪%)-এর ক্ষেত্রে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৩৪৬ জন সেরোপজেটিভ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তাঁদের অ্যান্টিবডি লেভেল বেড়েছে। এঁদের মধ্যে ছয়মাস পরে ৩৫ জনের স্যাম্পেল পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তাঁদের অ্যান্টিবডি কমেছে। তবে সাধারণ অ্যান্টিবডি এবং নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই ওপরে ছিল।
এই গষেণায় রক্তের গ্রুপের ধরণ, পেশার ধরণ, অ্যালকোহল পান করেন কিনা, ডায়েট, চিকিৎসার ইতিহাস, কোন ধরনের পরিবহণ ব্যবহার করেন, সেই বিষয়গুলিকে প্রশ্নের তালিকায় রাখা হয়েছিল। এক্ষেত্রে যাঁদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল তাঁদেরকে তিন থেকে ছয়মাস নজরদারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সিএসআইআর-এর তরফে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের 'ট্রাক্টর ব়্যালি' ঘিরে জোর জল্পনা! কী রায় দিল সুপ্রিমকোর্ট?