জামিয়াকাণ্ডে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অভিযোগ শুনবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশ ঢুকে ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ করে। সেই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ অকারণে পুলিশ তাদের উপর 'হামলা' চালায়। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও ছিল। এবার সেই ঘটনা প্রসঙ্গে আরও বিশদে জানতে ও খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্যের একটি দল। আগামী চার দিন ধরে ছাত্রদের সব অভিযোগ শুনবে তারা।
|
জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল
মঙ্গলবার ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ চার সদস্যের এক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে যাবেন। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের যাবতীয় অভিযোগ শুনবেন আধিকারিকরা।
উপাচার্যের অফিসের সামনে বিক্ষোভ ছাত্রদের
এদিকে সোমবার থেকেই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে ছাত্ররা। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি,পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআইআর দায়ের ও ক্যাম্পাসে সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার দাবিতে এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ছাত্ররা।
১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় ঢোকে পুলিশ
গত মাসে পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লি পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জ করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
৫০ জন ছাত্রকে আটক করে পুলিশ
সেই রাতে প্রায় ৫০ জন ছাত্রকেও আটক করে রাখা হয়। এরপর এই ঘটনায় সরকার ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকে বিরোধীরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্ররা। জামিয়ার আঁচ গিয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্রদের বিক্ষোভ
যদিও দক্ষিণ দিল্লির বিক্ষোভে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররা যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, পুলিশ বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমাদের কর্মী এবং ছাত্রদের মারধর করা হচ্ছে। তাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।