ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় হাজিরা দিয়েই জামিন পেলেন সনিয়া-রাহুল
নয়াদিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আদালতে পৌঁছেই জামিন পেলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারক ৫০ হাজার টাকা করে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন দুজনের।
এদিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সনিয়া-রাহুলের পাসপোর্ট জমা রাখারও আবেদন করেন তিনি। তবে সেসবে কান দেননি বিচারক। কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি আদালতে সনিয়া-রাহুলের হয়ে সওয়াল করেন। জামিন পাওয়ার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই বেরিয়ে যান সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
এদিন সনিয়া-রাহুলের জামিন পাওয়াকে রাজনৈতিক তথা আইনি জয় বলেই মনে করছে কংগ্রেস। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে এদিন মনমোহন সিং সহ কংগ্রেসের সব শীর্ষ নেতারা এদিন পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির ছিলেন। জামিন পাওয়ার পরে সকলেই গভীর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
এদিনের এই মামলা ঘিরেই জাতীয় রাজনীতি ফের সরগরম হয়ে উঠেছে। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর করা অভিযোগ অনুযায়ী গান্ধীদের সঙ্গে আরও কয়েকজন মিলে একটি কোম্পানি তৈরি করেন। যেই সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া সংবাদপত্র ন্য়াশনাল হেরাল্ডের হয়ে প্রচুর সম্পত্তি দখল করেছে। এমনকী 'ইয়ং ইন্ডিয়া' নামে একটি কোম্পানিও সনিয়া-রাহুল তৈরি করেন যেখানে দুজনের মিলিয়ে ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছে কংগ্রেস। বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেও উল্লেখ করেছেন রাহুল গান্ধী। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও তোপ দাগতে ছাড়েননি রাহুল। এদিন আদালতে হাজিরা দেওয়ার আগে বেলা ১টার মধ্যে সমস্ত কংগ্রেস সাংসদদের দলীয় সদর দফতরে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সব কংগ্রেস নেতা একসঙ্গে আদালত চত্ত্বরে হাজির হন। এছাড়াও ছিলেন বহু কংগ্রেস কর্মী।
সনিয়া গান্ধীর আবাসস্থল দশ জনপথ থেকে আদালতের দূরত্ব মেরেকেটে ৩.৩ কিলোমিটার। তবে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি ছিলনা দিল্লি পুলিশ। গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল।