৩০ নভেম্বর থেকেই সমস্ত ধরণের আতসবাজি নিষিদ্ধ দিল্লি-এনসিআরে, নয়া সিদ্ধান্ত পরিবেশ আদালতের
৩০ নভেম্বর থেকেই সমস্ত ধরণের আতসবাজী নিষিদ্ধ দিল্লি-এনসিআরে, নয়া সিদ্ধান্ত পরিবেশ আদালতের
বিভিন্ন ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে উৎসবের মরসুমে দিল্লি-এনসিআরে আতসবাজীর ব্যবহার সম্পর্কে চূড়ান্ত রায় দিতে দেখা গেল ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইবুনাল বা এনজিটিকে। যার জেরে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে রাজধানী দিল্লি ও সন্নিহিত অঞ্চলে সমস্ত ধরণের বাজির বিক্রি ও ব্যবহার সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ হতে চলেছে।
পরিবেশবান্ধব আতসবাজীর ক্ষেত্রে খানিক ছাড়
তবে পরিবেশবান্ধব আতসবাজীর ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দিতে দেখা গেছে এনজিটিকে। তবে শুধুমাত্র দীপাবলি, ছট, বড়দিন ও নিউ ইয়ার উদযাপনের সময় দু-ঘন্টাই ব্যবহার করা যাবে এই ধরণের আতসবাজী। যদিও এই নিয়মের সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যে সমস্ত রাজ্যগুলির বায়ুমান তুলনামূলক ভাবে ভালো রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র এই আংশিক ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে বাজি পড়ানোর সময় ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনই।
জরুরী বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নিলেন কেজরিওয়াল ?
এদিকে করোনা সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি রাজ্যই বর্তমানে বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু নির্দেশিকার কথা প্রকাশ করেছে। এমনকী এই বিষয়ে বৃহঃষ্পতিবারই বিশেষ বৈঠক করতে দেখা যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। বিগত কয়েক সপ্তাহে গোটা রাজধানী জুড়েই করোনার বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখে তখনও রাজ্য প্রশাসনের তরফে সমস্ত ধরমের শব্দবাজী বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
করোনার তৃতীয় দফার সংক্রমণে জর্জরিত রাজধানী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মারণ করোনার তৃতীয় পর্বের ঢেউই ফের কাবু হয়েছে দিল্লি। দৈনিক করোনা আক্রান্তের নিরিখে রবিবার ফের নয়া রেকর্ড করে দিল্লি। সারা দিনে মোট ৭ হাজার ৭৪৫ জন মোট করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মারা গেছেন ৭৭ জন। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে মোচ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪০ হাজারের গণ্ডিও পার করে ফেলেছে। মারা গেছেন ৭ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। এমতাবস্থায় দীপবলি সহ একাধিক উৎসবর রেশ ধরে যাতে করোনার বাড়বাড়ন্ত আর না বাড়ে এখন সেটাই লক্ষ্য সরকারের।
দৈনিক ১৫ হাজার করোনা আক্রান্তের দেখা মিলতে পারে দিল্লিতে
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছে শীতের মরসুমে দিল্লির প্রতিবারের ভয়ানক বায়ুদূষণকে ঠেকানে না গেলে একদিনে রাজধানীতে ১৫ হাজারেরও বেশি করোনা আক্রান্তের দেখা মিলতে পারে আগামী কয়েক মাসে। এদিকে আতসবাজীর ব্যবহার ছাড়াও পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ব্যাপক পরিমাণে খড় পোড়া শুরু হওয়ার পরে দিল্লি-এনসিআর-র বায়ুমানের পারাপতন যথেচ্ছ মাত্রায় শুরু হয়েছে। এদিকে গত কয়েদিন ধরে দিল্লির বায়ুমান সূচক ৪৫০ এর উপরে রয়েছে। যাতে বিপদঘণ্টা শুনতে পাচ্ছেন পরিবেশবিদেরা। বায়ুমান সাধারণত ২০০-র নীচে থাকলে তাকে স্বাস্থ্যের পক্ষে সেই অর্থে ক্ষতিকর বলে গণ্য করা হয় না।
দিল্লি যাত্রার কারণ ব্যাখ্যা! বিজেপিকে কেন ভোট দেবেন বাংলার মানুষ, বললেন দিলীপ