সবথেকে সহজে কীভাবে বানাবেন Unique Digital Health ID? মোবাইল না থাকলেও বানানো যাবে এই কার্ড
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। দেশজুড়ে চালু হয়েছে ayushman bharat digital mission। দীর্ঘদিন পাইটল প্রজেক্ট হিসাবে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চলে এই মিশনের কাজ চলছিল।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। দেশজুড়ে চালু হয়েছে ayushman bharat digital mission। দীর্ঘদিন পাইটল প্রজেক্ট হিসাবে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চলে এই মিশনের কাজ চলছিল।
সোমবার ভার্চুয়ালের মাধ্যমে দেশজুড়ে নয়া ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। National Digital Health Mission এর মাধ্যমে প্রত্যেক ভারতীয়কে ইউনিক ডিজিটাল হেলথ আইডি (Unique Digital Health ID) কার্ড দেওয়া হবে।
এটি একটি ডেটা ব্যাঙ্ক হিসাবে কার্যত কাজ করবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এতে থাকবে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এটিকে রেকর্ড করা হবে।
কীভাবে কাজ করবে এই হেলথ কার্ড
এই কাজের জন্যে গুগল প্লে স্টোরে NDHM হেলথ রেকর্ড নামে একটি অ্যাপলিকেশন দেওয়া হয়েছে। হেলথ কার্ড বানানোর ক্ষেত্রে ওই অ্যাপের সাহায্যেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আর এভাবেই প্রত্যেক ব্যবহারকারী একটি Unique Digital Health ID পাবেন। তবে যদি কারোর কাছে স্মার্ট ফোন না থাকে তাহলেও এই সুবিধা পেতে পারে। হেলথ আইডি কার্ডের জন্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হলে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, হেলথ সেন্টার, wellness center এবং বিভিন্ন ক্যাম্প অফিস খোলা হবে সরকারের তরফে।
সেখানে গিয়ে এই কার্ড তৈরি করা যাবে।
অন্যদিকে কোনও ব্যক্তি https://healthid.ndhm.gov.in/register-এ গিয়ে নিজের রেকর্ড নথিভুক্ত করে স্বাস্থ্য আইডি তৈরি করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। কয়েকটি তিথ্য জানতে চাওয়া হবে। যেমন নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা সহ বেশ কিছু তথ্য দিতে হবে।
এই তথ্য দিতে হবে
NDHM হেলথ রেকর্ডে ব্যবহারীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য একটি জায়গাতেই থাকবে। আর তা থাকবে সুরক্ষিত। কবে কবে কোন ডাক্তারের কাছে কোন রোগের চিকিৎসা করানো হয়েছে সমস্ত তথ্য সেখানে থাকবে। কোন চিকিতসার জন্যে কি কি ওষুধ দেওয়া হয়েছে সমস্ত কিছু ওই তথ্য ভান্ডারেই থাকবে। শুধু তাই নয়, কোন ওষুধে শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কিনা সেই বিষয়েও ওই রেকর্ডে উল্লেখ থাকবে। যদি কোনও ক্ষেত্রে ওষুধ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে থাকে তা কেন সেই বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে। একটা ছাতার তলাতে সমস্ত তথ্য থাকবে। আর তা থাকার কারনে চিকিৎসকের চিকিৎসা করতে আরও সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডিজিটাল হেলথ কার্ডের লাভ কি?
ডিজিটাল হেলথ কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্ত তথ্য ডিজিটাল ফর্মেটে এক জায়গাতে থাকবে। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির একটা মেডিক্যাল হিস্ট্রি তৈরি হয়ে যাবে। হেলথ কার্ড ব্যবহারকারী আগামিদিনে সরকারি কিংবা বেসরকারি যে কোনও জায়গাতে চিকিৎসা করাতে গেলে ডাক্তার সমস্ত তথ্য ডিজিটালের মাধ্যমে একটা জায়গাতে চলে আসবে। এমনকি যে কোনও রাজ্যে চিকিৎসা করাতে গেলেও ডিজিটাল হেলথ কার্ডের মাধ্যমেও চিকিৎসা করা যাবে। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফাইল নিয়ে আর রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘোরার দরকার নেই।
সরকারি ক্ষেত্রে মিলবে সাহায্য
এই কাজ পুরোপুরি ভাবে সরকারি ভাবে হবে। এখানে সমস্ত রোগীর তথ্য সুরক্ষিত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারি যোজনাতে অনেক সময়ে জালিয়াতি হয়ে থাকে। আর সেক্ষেত্রে ডিজিটাল হেলথ কার্ড অনেক বেশী সুরক্ষিত বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভর্তুকিও পাওয়া যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে ২ কোটিরও বেশী মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে থাকেন। আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে এই সুবিধা পাওয়া যেত। তবে এই কাজের ক্ষেত্রে এবার থেকে ডিজিটাল হেলথ কার্ড আরও সুরক্ষিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।