নারোদা পাটিয়া দাঙ্গা মামলায় বেকসুর খালাস মায়া কোদনানি, সাজা বহাল বাবু বজরঙ্গীর
নারোদা পাটিয়া দাঙ্গা মামলায় বিজেপি নেত্রী মায়া কোদনানিকে সাজা মকুব করে বেকসুর খালাস করে দিল গুজরাত উচ্চ আদালত।
নারোদা পাটিয়া দাঙ্গা মামলায় বিজেপি নেত্রী মায়া কোদনানিকে সাজা মকুব করে বেকসুর খালাস করে দিল গুজরাত উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে এই ঘটনায় অপর অভিযুক্ত বজরং দল নেতা বাবু বজরঙ্গীর সাজা বহাল রাখল আদালত। এই মামলায় গণপত ও হরেশ ছড়াকেও আদালত বেকসুর খালাস করেছে।
গোধরা কাণ্ডে ট্রেনে আগুন লাগার একদিন পরেই ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বনধের ডাক দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেদিন নারোদা পাটিয়া এলাকায় একটি জমায়েত থেকে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।
সেদিনের উত্তেজক পরিস্থিতিতে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩৩ জন। এই ঘটনায় ৬১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয়। সেই তালিকায় ছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী ও নারোদা অঞ্চলের বিজেপি বিধায়ক মায়া কোদনানি, প্রাক্তন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা বাবু বজরঙ্গী সহ আরও অনেকে।
2002 Gujarat riots case(Naroda Patiya): Gujarat High Court acquits Maya Kodnani, Babu Bajrangi's conviction upheld. pic.twitter.com/XPCejIsE64
— ANI (@ANI) April 20, 2018
ঘটনার পরেই ৪৬ জনকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিস। পরে ২০০৮ সালে আরও ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৯ সালের অগাস্ট মাসে এই মামলার প্রথম শুনানি শুরু হয়। ২০১২ সালে মায়া কোদনানি সহ ৩২ জনকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। কাউকে ২৮ বছরের কারাদণ্ড. কাউকে ১৪ ও ২১ বছরের কারাদণ্ড তো কাউকে আজীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়।
এই মামলায় অভিযুক্তরা নিম্ন আদালতে সাজা পেয়ে পরে গুজরাত উচ্চ আদালতে মামলা করে। সেই মামলার রায়েই এদিন বেকসুর খালাস মেলেন মায়া কোদনানি।
প্রসঙ্গত গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সাক্ষ্য দিয়ে জানান, গুজরাত দাঙ্গার সময়ে নারোদা গাম সংঘর্ষ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন গুজরাত মন্ত্রী মায়া কোদনানি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আহমেদাবাদে দায়রা আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে জানান, কোদনানির সঙ্গে ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গুজরাত নির্বাচনের সময়ে তাঁর দেখা হয়েছিল। সেই সাক্ষ্যও কোদনাননির খালাসে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।