মোদীর শপথগ্রহণ রাষ্ট্রপতি ভবনে হওয়া অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়
এর আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে যে অনুষ্ঠানগুলি হয়েছে তাতে অতিথি সংখ্য়া মেরে-কেটে গড় ১,৪০০-১,৫০০ জন হতো। কিন্তু এত অতিথি নিয়ে এথ বড় অনুষ্ঠান এর আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে হয়নি। মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে খোলা আকাশের নীচে, রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোর্সকোর্টে। এই অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখা যাবে টেলিভিশনে।
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সচিব অমিতা প্যাটেল জানিয়েছেন, এর আগে রাষ্ট্রপতি ভবেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছে অশোকা হলে। অতিথি আমন্ত্রণেও ছিল নিয়ন্ত্রণ, ফলে অতিথি সংখ্যা ওই ৪০০-৫০০-র কাছাকাছি থাকত। কিন্তু ১৯৯০ সালে চন্দ্রশেখর এবং ১৯৯৮ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল ফোর্স কোর্টে। কিন্তু আমন্ত্রিত অতিথিদের সংখ্যা ছিল ১,২০০-১,৩০০ জন।
তার উপরে অতিথি তালিকায় এত বড় বড় নাম রয়েছে যে সারাক্ষণ অতীব সক্রিয় থাকতে হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদের। ছোট ছোট বিষয়গুলিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। মনিটর করা হচ্ছে ক্ষুদ্র বিষয়গুলিও। অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন, পাকিস্তান-সহ সাত দেশের প্রধান। বিদেশের নেতা ও কূটনীতিকরা, প্রাক্তন মন্ত্রিসভান সদস্যরা, সাংবিধানিক প্রধানরা, উভয় কক্ষের ৭৭৭জন সাংসদ,মুখ্যমন্ত্রীরা, রাজ্যপালেরা, এবং সাংবাদিকরা। থাকবেন বেশ কয়েকজন শিল্পপতি, বেশ কয়েকজন হাই প্রোফাইল তারকা। নরোন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আনুমানিক ১ ঘন্টা ১০ মিনিট চলতে পারে বলে রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে, কোনও রকম ব্যাগ, থলি এবং মোবাইল ফোন রাষ্ট্রপতি ভবনের অন্দরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। ভিভিআইপিদের ক্ষেত্রে গাড়ি নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হলেও বাকি অতিথিদের জন্য 'পিক আপ অ্যান্ড ড্রপ' পরিষেবা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার এক ঘন্টা আগেই অর্থাৎ বিকেল ৫টার মধ্যেই অতিথিদের আসন গ্রহণ করতে হবে। তার পরে আর কাউকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।