এক হাজার ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো ঘিরে রাখবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভিন্ন মুসলিম জঙ্গি সংগঠন, যেমন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ ইত্যাদির হিট লিস্টে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি যখন শুধু বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন, তখনও বারবার তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পাটনার জনসভায় বোমা বিস্ফোরণের পর এই দাবি আরও জোরালো হয়। তবুও সংকীর্ণ রাজনীতির কারণে সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। এ বার বিজেপি ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
নিয়মমাফিক দেশের সবচেয়ে কুলীন কমান্ডো বাহিনী অর্থাৎ এসপিজি সুরক্ষা পাবেন নরেন্দ্র মোদী। অন্তর্বলয়, মধ্যবলয় এবং বহির্বলয়, এই তিনটি বলয়ে তাঁকে ঘিরে রাখবেন এসপিজি কমান্ডোরা। রেস কোর্স রোডেও অনুরূপ বলয় তৈরি করা হবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-ও এত বেশি নিরাপত্তা পাননি। কারণ তাঁর ক্ষেত্রে 'থ্রেট পারসেপশন' ছিল কম। ২৬ মে অর্থাৎ সোমবার শপথ নেওয়ার পরপরই নরেন্দ্র মোদী চলে আসবেন এমন আঁটোসাঁটো সুরক্ষার আওতায়।
শুধু তিনি নন, তাঁর মা হীরাবেন মোদীকেও সুরক্ষা দেবে এসপিজি। কারণ আইন অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারও এসপিজি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। বৃদ্ধা হীরাবেন বড় ছেলে সোমভাই মোদীর সঙ্গে আমেদাবাদে থাকেন। এসপিজি-র মতে, এই বাড়ির চারপাশেই নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলবে তারা।
নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী যশোদাবেন আলাদা থাকলেও তাঁকেও সুরক্ষা দেবে এসপিজি। কিন্তু সমস্যা হল, তিনি আমেদাবাদে থাকেন না। বনসকাঁঠা জেলার রাজসোনা গ্রামে বাস করেন। এখানে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় বুঝে তাঁকেও আমেদাবাদে নিয়ে আসতে চায় এসপিজি। যদিও যশোদাবেনের তাতে আপত্তি রয়েছে।
নরেন্দ্র মোদীর দাদা সোমভাই মোদী, দুই ভাই প্রহ্লাদভাই মোদী ও পঙ্কজভাই মোদী এবং বোনকে অবশ্য নিরাপত্তা দেবে না এসপিজি। তাঁদের নিরাপত্তা দেবে গুজরাত পুলিশের কমান্ডোরা। তাঁরা সবাই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাবেন।
নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও আর যারা এসপিজি নিরাপত্তা এখন পাচ্ছেন, তাঁরা হলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী।