নেতাজি স্মৃতিসৌধের মডেল উন্মোচন, আন্দামান-নিকোবরে ২১ দ্বীপের নামকরণ করলেন মোদী
নেতাজি স্মৃতিসৌধে থাকবে একটি যাদুঘর, একটি কেবল কার রোপওয়ে, একটি লেজার অ্যান্ড সাউন্ড শো ও একটি থিম-নির্ভর বিনোদন পার্ক থাকবে শিশুদের জন্য।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মদিবসে নেতাজি স্মৃতিসৌধের মডেল উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে তিনি নামকরণ করলেন আন্দামান ও নিকোবরের ২১টি দ্বীপের। সোমবার এই দিনটি দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পরাক্রম দিবস হিসেবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে পরম বীর চক্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামানুসারে এদিন আন্দামান ও নি্কোবর দ্বীপপুঞ্জের ২১টি দ্বীপের নামকরণ করা হয়। তার মধ্যে একটি রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতাজি স্মৃতিসৌধের মডেল উন্মোচন করা হয়।
নেতাজি স্মৃতিসৌধে থাকবে একটি যাদুঘর, একটি কেবল কার রোপওয়ে, একটি লেজার অ্যান্ড সাউন্ড শো। ঐতিহাসির ভবনগুলিতে গাইডেড হেরিটেজ ট্রেইল এবং একটি রেস্ট্রো লাউঞ্জ ছাড়াও একটি থিম-নির্ভর বিনোদন পার্ক থাকবে শিশুদের জন্য।
আন্দামান ও নিকোবরের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপে এই স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি আগে রস দ্বীপ নামে পরিচিত ছিল। তারপর সর্ববৃহৎ দ্বীপটির নামকরণ করা হয়েছে মেজন সোমনাথ শর্মার নামে। পরম বীর চক্র পুরস্কারপ্রাপ্ত মেজর ১৪৭ সালের ৩ নভেম্বর শ্রীনগর বিমানবন্দের কাছে পাকিসতানি অনুপ্রবেশকারীদের বাতাড়িত করার সময় কাউন্টার অ্যাকশনে শহিদ হয়েছিলেন।
যে ২১ জন পরমবীর চক্র পুরস্কারপ্রাপ্তের নামে ২১টি দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন- মেজর সোমনাথ শর্মা, ল্যান্সনায়েক করম সিং, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল রমা রাঘোবা রানে, নায়ক যদুনাথ সিং, হাবিলদার মেজর পিরু সিং, ক্যাপ্টেন জিএস সালারিয়া, মেজর ধন সিং থাপা, সুবেদার যোগিন্দর সিং, মেজর শয়তান সিং, সিকিউএমএইচ আবদুল হামিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরদেশির বুর্জরজি তারাপুরা, ল্যান্সনায়েক আলবার্ট এক্কা, মেজর হোশিয়ার সিং, সেকেন্ট লেফটেন্যান্ট অরুণ ক্ষেত্রপাল, ফ্লাইং অফিসার নির্মলজিৎ সিং সেখন, মেজর রামস্বামী পরমেশ্বরন, নায়েব সুবেদার বানা সিং, ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা, লেফটেন্যান্ট মনোজ কুমার পান্ডে, রাইফেলম্যান সঞ্জয় কুমার এবং সুবেদার মেজর অবসরপ্রাপ্ত গ্রেনেডিয়ার যোগেন্দ্র সিং যাদব।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই পরমবীর চক্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামে দ্বীপেপ নামকরণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, "এই পদক্ষেপটি হবে আমাদের বীরদের প্রতি চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার জন্য চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করেছিলেন।"