মুসলমানরাও ভারতের নাগরিক! নাগরিক আইনের প্রশ্নে এনডিএ বৈঠকে অকপট মোদী
সিএএ-র সমর্থনে এনডিএ সহযোগীদের এগিয়ে আসার আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার তিনি বিজেপির মিত্রদলগুলির প্রতি আহ্বান করেন, যারা সিএএ বৈষম্যমূলক বলছে তাদের বিরোধিতা করুন।
সিএএ-র সমর্থনে এনডিএ সহযোগীদের এগিয়ে আসার আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার তিনি বিজেপির মিত্রদলগুলির প্রতি আহ্বান করেন, যারা সিএএ বৈষম্যমূলক বলছে তাদের বিরোধিতা করুন। বাজেট অধিবেশনে ট্রেজারি বেঞ্চের ভূমিকা নিয়ে সংসদের সেন্ট্রাল হলে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই তিনি এমন আবেদন করেন।
মুসলমানরাও আমাদের দেশের নাগরিক
মোদী বলেন, কিছু লোক নাগরিক আইনকে ভুল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। মুসলমানরাও আমাদের দেশের নাগরিক। তাদের সমান অধিকার রয়েছে এ দেশে। এই বৈঠকে এনডিএর শরিকরা একটি প্রস্তাব পাস করে। প্রস্তাবটিতে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সমর্থন জানান।
এনডিএর তরফে বার্তা
এনডিএর তরফে বার্তা দেওয়া হয়, নরেন্দ্র মোদী নাগরিক আইন পাস করে মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন। এছাড়া এনডিএ-র সদস্যরা জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তকরণ, করতারপুর করিডোর তৈরির মহান চুক্তিও সাক্ষরিত করেন। এ বিষয়ে তিনি একমত হয়েছেন।
ভিন্ন চিত্র সংসদে
এদিন একদিকে এনডিএ যখন বিজেপির প্রশংসা করেছে, অন্যদিকে বিরোধীরা ‘শেম শেম' ধ্বনি তুলছেন। শুক্রবার সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র বিষয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ প্রতিক্রিয়া জানানোর পরই এই ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছিল। সিএএ-র ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি।
বাপুর ইচ্ছা বাস্তবায়িত করতেই
তিনি বলেন, আমাদের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী দেশভাগের পরে বলেছিলেন যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যদি এই দেশে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করে তবে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত। মহাত্মার সেই আকাঙ্ক্ষাকে অবশ্যই সম্মান করা উচিত সবার। বাপুর ইচ্ছা বাস্তবায়িত করতেই নাগরিকত্বের সংশোধনী পাস করা হয়েছে।