'তোষণের রাজনীতি চলছে', শাহিনবাগ নিয়ে বিরোধী আপ-কংগ্রেসকে তোপ নরেন্দ্র মোদীর
দিল্লিতে নির্বাচনী ভাষণে বড় দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তিনি আজ দিল্লির ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে দিল্লির ভাগ্য বদলে দেবে। পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন যে কেন্দ্রে বিজেপির আনা জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি দিল্লিতে কার্যকর করা হচ্ছে না। মোদীর অভিযোগ, দিল্লির উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেজরিওয়ালের সরকার। এছাড়া শাহিনবাগ নিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'যারা শাহিনবাগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তারা জাতীয় পতাকা ও সংবিধানের পিছনে লুকিয়ে এসব করছে। দুটি রাজনৈতিক দল তোষণের রাজনীতি করতেই তাদের সমর্থন জানাচ্ছে।'
মোদীর মুখে শাহিনবাগ ইস্যু
আজ জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী শাহিনবাগ ইস্যুও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সিএএর নামে বিক্ষোভ রাজনৈতিক এক্সপেরিমেন্ট। আজ প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের তোপ দেগে বলেন, 'তারা (বিরোধী) একই ব্যক্তি যারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিন্দা করেছিলেন। দিল্লির নাগরিকরা কি এই জাতীয় লোককে ক্ষমতায় চান? এই লোকেরা ভারতকে টুকরো টুকরো করতে চায়, তাদের বাঁচাচ্ছেন। জামিয়া ও শাহিনবাগ সহ এই সমস্ত প্রতিবাদের পেছনে একটি রাজনৈতিক নকশা রয়েছে।'
আপ-কে তোপ মোদীর
পাশাপাশি আজ নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেন, 'বিহার থেক এসে দিল্লিতে থাকা মানুষদের ঘৃণা করে আম আদমি পার্টি সরকার।' ২২ ডিসেম্বরের সেই সভা থেকে ১৭০০ কলোনির প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষকে তাদের বাসস্থানের বৈধতা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, 'আমরা ক্ষমতায় এলে ২০২২ সালের মধ্যে পাকা বাড়ি পাবেন গরিব মানুষরা।'
দিল্লিতে কল্যাণমূলক কাজে বাধা দিচ্ছে আপ
আম আদমি পার্টিকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'দিল্লি সরকার এখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছে না। যতক্ষণ এই সরকার দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকবে ততক্ষণ এরা কল্যাণমূলক কাজে বাধা দিতে থাকবে। তারা রাজনীতি খেলা ছাড়া কিছুই জানে না।'
ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
দিল্লির ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দিল্লি আসলে কী চায় আমাকে তা বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজনগুলি স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছে সবাই। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে, দিল্লির লোকেরা বিজেপিকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছিল। যারা বিজেপিকে দিল্লির সাতটি লোকসভার আসন দিয়েছে, তাদেরই ভোট এই দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়তা করেছিল। এবার তাদের ভোট দিল্লির ভাগ্য বদলে দেবে এবং শহরটিকে নিরাপদ, আধুনিক ও পরিষ্কার করে তুলবে।'