কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০ : অধিবেশনের আগে বক্তব্য পেশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর, বিক্ষোভ প্রদর্শন বিরোধীদের
শুক্রবার সংসদে শুরু হল বাজেট অধিবেশন। সিএএ নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজার মধ্যেই শেষ হয়েছিল গত শীতকালীন অধিবেশন। এর পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে শাসক বিজেপিকে জেরবার করেছে বিরোধীরা। সেই আবহেই শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশন। এদিকে অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়েও ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। তবে চলতি অধিবেশন শুষ্ঠু ভাবে চলবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে এক বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সকলকে নিশ্চিত করা উচিত যে এই অধিবেশনে, আমরা এই দশকের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করি। এই অধিবেশনটি মূলত অর্থনৈতিক ইস্যুগুলিতে ফোকাস করা হবে। আমি চাই যে উভয় কক্ষেই এই বিষয়গুলি নিয়ে ভালো বিতর্ক হোক।'
|
দলিত ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, 'আমাদের সরকারের পরিচিতি দলিত, মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যে কাজ করা। এরা সমাজে শোষণের মুখোমুখি হয়। আমরা তাদের উন্নয়নের জন্যে কাজ করতে চাই। আমরা এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।'
|
সংসদের বাইরে বিরোধীদের বিক্ষোভ
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বাজেট অধিবেশন নিয়ে এই আশা ব্যক্ত করার মাঝেই সংসদ চত্বরের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন কংগ্রেস সাংসদরা। দলের অন্তরবর্তীকালীন সভপতি সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ প্রদর্শনে শামিল হয়েছে বিরোধীরা। হাতে কালো ব্যান্ড পড়ে সরকার বিরোধী স্লেগানে উত্তাল হয়েছে সংসদ চত্বর। অর্থনীতির বেহাল দশা ছাড়াও সরকারের বিরুদ্ধে সিএএ ও এনআরসি নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীরা।
সরকারের সামনে যেই চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে
নরেন্দ্র মোদী সরকারের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল ভারতীয় অর্থনীতিকে মন্দা থেকে উদ্ধার করা। পরিসংখ্যান মন্ত্রক পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে যে চলতি অর্থবছরে অর্থনীতির ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে, যা ২০১২-১৩ সালের পর থেকে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে ধীর গতি। অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে আরও জটিল করে তুলেছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি। ডিসেম্বরে সাড়ে পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ৭.৩৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার।
কোন ক্ষেত্রে নজর দিতে পারে সরকার
এদিকে মানুষের মধ্যে চাহিদা সঞ্চার না করতে পারায় মন্দা রয়েছে বাজারে। দেশের জিডিপি বাড়াতে কর্পোরেট কমানোর পথে আগেই হেঁটেছে সরকার। সেই পথ খুব একটা সাফল্য এনে না দিতে পারায় এবার হয়ত সাধারণ মানুষের হাতে কী করে বেশি টাকা থাকে তার দিকে নজর দেবে সরকার। চাহিদা বাড়াতে ও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হয়ত আয়করের ক্ষেত্রে কিছুটা কাটছাঁট দেখা যেতে পারে।
পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে ভারতকে পৌঁছাতে হলে উৎপাদন শিল্পে অগ্রগতির পাশাপাশি কৃষকদের আয়ও দ্বিগুণ করতে হবে। কিন্তু সেই পথে দেশের অর্থনীতিকে আপাতত নিয়ে যেতে ব্যর্থ হচ্ছে কেন্দ্র।