খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট 'হ্যাক', হুলস্থুল রাজধানীজুড়ে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটার হ্যাক। প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রনে নেই সেই অ্যাাকাউন্ট। আর এই খবর সামনে আসতেই রীতিমত হুকস্থুল বেঁধে যায়। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ময়দানে নেমে পড়েন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। যদিও অল্প কিছু
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটার হ্যাক। প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রনে নেই সেই অ্যাাকাউন্ট। আর এই খবর সামনে আসতেই রীতিমত হুকস্থুল বেঁধে যায়। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ময়দানে নেমে পড়েন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। যদিও অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ফের একবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় টুইটার অ্যাকাউন্টটি।
বিটকয়েন সংক্রান্ত যে টুইট প্রধানমন্ত্রী মোদীর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে করা হয় সেটাও ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে টুইটারের তরফেও সবরকম ভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনটাই টুইটার সুত্রের খবর।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই অ্যাকাউন্ট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে করা টুইটগুলি এড়িয়ে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে। বলা হয়েছে, বেশ কিছুক্ষণ প্রধানমন্ত্রী মোদী অ্যাকাউন্টটি নিয়ন্ত্রনে ছিল না।
উল্লেখ্য, রবিবার ভোররাতে প্রধানমন্ত্রী 'নরেন্দ্র মোদী'র (@narendramodi) নামে থাকা টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে যায়। সেখানে কেউ বা কারা একটি ইউআরএল শেয়ার করে। মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্টে লেখা হয়। ভারত বিটকয়েনকে আইনি ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সরকার পাঁচশটি বিট কয়েন কিনেছে। আর তা দেশের মানুষের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে।
এই টুইট সামনে আসার পরেই রীতিমত হইচই বেঁধে যায়। এটাকে অনেকেই সত্যি হিসাবে ধরে নেয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ভ্রম সংশোধন হয়। জানা যায়, এগুলি সমস্তই ভুয়ো টুইট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন কোনও টুইট করেননি। সুত্রের খবর, কেন্দ্রের তথ্য এবং প্রযুক্তি মন্ত্রক বিষয়টি দেখছে।
ওই মন্ত্রকের অধীন ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপোন্স টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরো ঘটনার তদন্তের। এর পিছনে কারা রয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এরপরেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশের সাইবার সেলও বিষয়টি দেখছে বলে জানা যাচ্ছে।
এবারই নতুন নয়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। সেই সময়ে নরেন্দ্র মোদী ওয়েবসাইটও হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত বেশ কিছু টুইট করা হয়েছিল। ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে একের পর এক ভুইয়ো তথ্য পোস্ট করা হয়।
সেখানে লেখা হয় সবাইকে আর্জি জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রিলিফ ফান্ডে দান করুন এবং ভারতের ক্রীপ্টোকারেন্সি চালু হচ্ছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে আরও একটু টুইটে লেখা হয় জন উইক এই অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করেছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার হ্যাক মোদীর অ্যাকাউন্ট। যেখানে কিনা বিশ্বের বহু নেতা ফলো করেন। আর খোদ প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সাইবার নিরাপত্তা।