করোনা সচেতনতায় মেয়ের করুণ আর্তি বাবাকে লেখা চিঠিতে! মোদীর পোস্ট ভাইরাল
মেয়ের করুণ আর্তি বাবার কাছে! করোনা সচেতনতার বার্তা মোদীর শেয়ারে মুহূর্তে ভাইরাল
বাবার প্রতি এক স্বল্পবয়সী মেয়ের আর্তি টুইটারে শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার টুইটারে করোনা আতঙ্কের একটি অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও তিনি শেয়ার করেছেন ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে। ৪০ সেকেন্ডের ক্লিপটিতে দেখানো হয়েছে এক মেয়ে তাঁর বাবার কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। বাবাকে লেখা সেই চিঠির সঙ্গে একটি ভয়েসওভার জুড়ে দিতেই ভাইরাল সেই বার্তা।
বাবার প্রতি মেয়ের আর্তি
এক মেয়ে তাঁর বাবাকে লিখেছেন- তিনি তাঁকে মিস করছেন না এবং তাঁর মা-ও মিস করছেন না। পরিবর্তে তিনি চান, বাবা যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। কারণ তিনি যদি দেশে ফিরে আসেন, তাহলে করোনভাইরাস জিতে যাবে। কিন্তু আমাদের করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করতে হবে। এটাই আমাদের এক ও একমাত্র লক্ষ্য এখন।
বাবাকে লেখা মেয়ের চিঠি
ওই মেয়ে তাঁর বাবাকে লিখেছে- "প্রিয় পাপা, ম্যাঁয় আপকো বিলকুল মিস নেহি কর রহি। মাম্মি ভি নেহি কর রহি। আপ কো মুম্বই সে ভাগ কর আনে কি কোয়ি জরুরত নেহি। আপ জাঁহা হ্যায়, ওঁহি পর রহনা। আপ বাহার নিকলেগা, তো করোনা জিত জায়েগা। হাম করোনা কো হারানা হ্যায়। হ্যায় না পাপা।
হিন্দি চিঠির বাংলা তর্জমা
এই চিঠির বাংলা করলে হয়- প্রিয় পাপা, আমি তোমাকে মিস করছি না। মাও তোমাকে মিস করছে না। তোমাকে মুম্বই ছেড়ে এখানে আসতে হবে না। প্লিজ বাবা, তুমি যেখানে আছো, সেখানেই থাকো। তুমি যদি বাইরে বের হও, তবে করোনা ভাইরাস জিতে যাবে এবং আমরা করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করতে চাই। তাই না পাপা।
|
চিঠিতে ভয়েস ওভার, মোদীর শেয়ার
বাবার প্রতি মেয়ের আর্তির এই চিঠির সঙ্গে একটি ভয়েস ওভার যোগ করে টুইটারে শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ভয়েস ওভারে উল্লেখ করা হয়েছে- "দয়া করে আপনার পিতামাতার দিকে নজর রাখুন। করোনার যোদ্ধা হোন। বাবার প্রতি একটি অল্প বয়সী মেয়ের বার্তা শুনুন।
ভাইরাল পোস্ট, লাইক-শেয়ারের বন্যা
এই পোস্টটি আপলোড করার পরই তিন ঘণ্টার মধ্যে দুই লাখেরও বেশি বার তা দেখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই বার্তায় প্রায় ৪০ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। এবং ৬ হাজারের বেশি রি-টুইট করা হয়েছে। মোট কথা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে বাবাকে লেখা মেয়ের চিঠি।
গোটা দেশে যখন লকডাউন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বব্যাপী এই করোনা মহামারী রক্ষার জন্য একেবারে প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বের হতে মানা করেছেন। তিনি গোটা দেশ লকডাউন রাখার ঘোষণা করেছেন ২১ দিনের জন্য। ২৫ শে মার্চ থেকে ভারত পুরোপুরি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে তাঁর ঘোষণার পর।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ দুপুর পর্যন্ত ভারতে ৭৫০ জনেরও বেশি করোনভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কেরালায়। তারপর মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মিলেছে। দেশে কোভিড ১৯-এর কারণে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।