চিনের কাছে জিডিপিতে হার, ক্ষুব্ধ মোদী ,তাই কি বাতিল জেটলির সঙ্গে বৈঠক
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হঠাৎই শ্লথ হয়ে গেছে, ঠিক কী কারণে তা নিয়ে কী রূপরেখা বানানো যায়, এইসব হওয়ার কথা ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। কিন্তু তা পিছিয়ে গেল।
চিনের কাছে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গোল খেল ভারত। রেগে আগুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদী ও অরুণ জেটলির। কিন্তু আপাতত পিছিয়ে গেল সেই বৈঠক। পরিবর্তিত কোন তারিখে বৈঠক হবে তা নিয়েও কিছু তথ্য এখনও সামনে আসেনি। এমনকি কেন বৈঠক পিছিয়ে গেল তা নিয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে অর্থমন্ত্রক।
এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার বেশ খানিকটা স্তব্ধ। হঠাৎই অর্থনৈতিক উন্নয়ন কেন এতটা শ্লথ হয়ে গেল তাই নিয়েই প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে হাজির থাকার কথা ছিল অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদেরও। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে হঠাৎই থমকে যায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে। কী ধরণের রোড ম্যাপ করে এগোলে থমকে যাওয়া জিডিপি বৃদ্ধির হার ফের বাড়ানো যায় সেটাই বার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজন অনুযায়ি এলাকাভিত্তিক উন্নয়নের রোডম্যাপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে রেলওয়েতে উন্নয়নের জন্য কী পরিমাণ অর্থবরাদ্দ প্রয়োজন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়ে গেছে। সড়ক বিভাগের সঙ্গেও বৈঠক করা হয়ে গেছে তাদের বরাদ্দ ও উন্নয়নের হিসেব করার জন্য।
বছর দুয়েক আগে বিশ্ব অর্থনীতিতে যখন মন্দা দেখা যাচ্ছিল, ঠিক তখনই ভারত একটা আশার বিন্দুর মত দেখাচ্ছিল। সেসময় চিনের জিডিপি-র চেয়েও ভারতের জিডিপি-র হার বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ থেকে ছটি কোয়ার্টারে জিডিপি বৃদ্ধির হার ক্রমশই নিম্নগামী। এই মুহূর্তে জিডিপি তিন বছরের সবচেয়ে সবচেয়ে নিচে নেমে ৫.৭ শতাংশ ছুঁয়েছে। যার ফলে দ্রুততম বিকাশশীল অর্থনীতির ট্যাগও খোয়াতে হয়েছে চিনের কাছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই নিম্নমুখী অর্থনীতিকে দ্রুত চাঙ্গা করার নীল নকশা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং অর্থনৈতিক বাজারে প্রভাব পড়েছে।