সমীক্ষাকে মিথ্যা প্রমাণ করে জিডিপির মহাপতন, মোদীর ‘আচ্ছে দিন’ দুঃস্বপ্নের জাঁতাকলে
দেশের আর্থিক পরিস্থিতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। জিডিপিতে মহাপতনেই তা প্রমাণিত। সাত বছর আগে ৪.৯ শতাংশে নেমে গিয়েছিল অর্থনীতির গ্রোথ রেট। মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এবারও সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে অর্থনীতি। একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েও অর্থনৈতিক সংকট ঠেকাতে ব্যর্থ মোদী সরকার।

আচ্ছে দিন আসেনি, অর্থনীতিতে মহাপতন
দেশকে স্বপ্ন দেখিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সোনার ভারত গড়বেন, তাঁর হাতেই দেশ সুরক্ষিত, তা বোঝাতে সমর্থও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আচ্ছে দিন তো আসেইনি, উল্টে অর্থনীতিকে একেবারে মহাপতন ঘটেছে। অর্থনীতির গ্রোথ রেট বা জিডিপি এক ঝটকায় নেমে এসেছে পাঁচে।

মোদী সরকারের শুরুতেই ঝটকা
প্রথম মোদী সরকারের শেষ ও দ্বিতীয় মোদী সরকারের শুরুতেই যে ঝটকা এসেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে, তা কাটিয়ে তোলাই এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত বছরে অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের প্রথম কোয়ার্টারে এই আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল অনেকটাই ভালো ৬.৮ শতাংশ। আর শেষ কোয়ার্টারে তা দাঁড়ায় ৫.৮ শতাংশ।

সমীক্ষাকেও হার মানাল নয়া জিডিপি
এবার সমীক্ষার রিপোর্ট ছিল, জিডিপি আরও কমতে চলেছে। সেই সমীক্ষার সঙ্গে একেবারেই মিলে গিয়েছে জিডিপির রিপোর্ট। তবে একেবারেই মেলেনি পরিসংখ্যান। যেখানে সমীক্ষা মনে করেছিল, জিডিপি নামতে পারে ৫.৭ শতাংশে, সেখানে জিডিপি নেমেছে ৫ শতাংশে। সাত বছরে এ ছবি দেখেনি ভারত।

জিডিপির মহাপতনে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগে
২০১২ সালের এপ্রিল-জুন কোয়ার্টারে বা প্রথম কোয়ার্টারে জিডিপি পড়ে গিয়েছিল ৪.৯-এ। তারপর এই প্রথম জিডিপি এতটা পড়ল। জিডিপির এই মহাপতনে বিশেষজ্ঞরা তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিল্পক্ষেত্রে শঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি গত ৭০ বছরে তৈরি হয়নি বলে অভিমত অনেকের।
[আরও পড়ুন: মোদী সরকারের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ল, মহাপতনে জিডিপি ৫ বছরে সর্বনিম্ন]
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির মিশে যাওয়া নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী]