'সেই রাতে ঘুমোতে পারিনি, ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম ', সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বর্ষপূর্তিতে বললেন মোদী
২০১৬ সালে উরিতে সেনা ছাউনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয়েছিল ভূস্বর্গ। দিল্লির মসনদে তখন নরেন্দ্র মোদী সরকার। গোটা দেশ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেবারও একশো তিরিশ কোটির দেশ ভেবে নিয়েছিল শুধুমাত্র 'দুঃখ প্রকাশ' , আর 'কূটনৈতিক সম্পর্ক' বন্ধ করেই নিরুত্তাাপ প্রতিবাদ জানাবে ভারত। তবে সমস্ত হিসাব নিকেশ ভুল প্রমাণিত করে , ১৮ সেপটেম্বর ২০১৬ সালে , পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে জঙ্গি নিধন করে আসে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। সেই গর্বের 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' এর ৩ বছর পূর্তি সম্পন্ন হল। এই সাহসী অভিযানের স্মৃতি চারণায় এদিন নরেন্দ্র মোদী একাধিক বক্তব্য পেশ করেন।
|
'সেই রাতে ঘুমোতে পারিনি'
নরেন্দ্র মোদী এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন,' ২৮ সেপ্টেম্বরের রাতে তিন বছর আগে ঘুমোতে পারিনি। অপেক্ষা করছিলাম কখন ফোন আসবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের রাত ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সোনালী গর্বের ইতিহাস তুলে ধরেছিল যাঁরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের অংশ ছিলেন। আমি সেনা জওয়ানদের সাহসকে কুর্ণিশ জানাই।'
২০১৬ সালের সেই রাতে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় সেনা
পাকিস্তান যা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি, তাই করে দেখিয়েছিল ভারতীয় 'থিঙ্ক ট্যাঙ্ক'। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে সঙ্গে নিয়ে একটি টিম গোটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ছক রচনা করে। সেই মতো চলে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় সেনার ঢুকে জঙ্গি নিধনের অভিযান। যে অভিযান উরি হামলায় শহিদ ১৭ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিয়েছিল। যে অভিযান গোটা বিশ্বের কাছে এক স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।
৭ টি লঞ্চপ্যাডকে নিশানা ভারতীয় সেনার
গভীর রাতের অন্ধকারে ২০১৬ সালে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করে জঙ্গিদের ৭ টি লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দিয়ে আসে ভারতীয় সেনা। তাঁরা পাক মাটিতে নিকেশ করতে থাকেন একের পর এক জঙ্গিকে। পাাকিস্তানের মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার ভিতরে যখন ভারতীয় সেনা ঢুকে গিয়েছে, তখন গোটা অপরেশনের ছবি আকাশপথে ড্রোন দিয়ে তোলা হচ্ছিল ভারতের তরফে। যা পরে প্রমাণ হিসাবে পেশ করা হয় । দিল্লিতে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকর,ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমস্ত আপডেট দেওয়ার কাজও চলছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক টিমের তরফে। গোটা বিষয়ের তত্ত্বাবধানে তখন দিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রাত কাটতেই সবশেষে আসে সাফল্যের সুখবর।