ঢাক-ঢোল, শাঁখ বাজিয়ে দিল্লিতে অভ্যর্থনা মহানায়ককে
শনিবার সকাল এগারোটায় নরেন্দ্র মোদী এসে পৌঁছলেন এখানকার ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। চোখে-মুখে পরিতৃপ্তির ছাপ স্পষ্ট। আর হবে নাই বা কেন! একক কৃতিত্বে দলকে টেনে তুলেছেন। মানুষ দু'হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছে শুধু নরেন্দ্র মোদীকে দেখে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তবে পরিতৃপ্তি থাকলেও বিন্দুমাত্র অহঙ্কার নেই। বিমান থেকে নেমে লাউঞ্জে দাঁড়িয়ে কথা বললেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তার পর বাইরে বেরিয়ে জনসমুদ্রে ভেসে চললেন।
গাড়িতে করে যখন হবু প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন, রাস্তার দু'পাশে কাতারে কাতারে লোক। শুধু কালো কালো মাথা আর গেরুয়া পতাকার সারি। সমর্থকদের আবদার মেটাতে তাদের সঙ্গে হাত মেলালেন, ছবি তুললেন। বললেন, এবার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পালা।
আগামী ২১ মে সদলবলে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। তার আগে এদিন তিনি এলেন দলের সদর কার্যালয়, ১১ নম্বর অশোক রোডে। সম্ভাব্য মন্ত্রীসভা নিয়ে আলোচনা হবে। বিজেপি-র 'ভীষ্ম' লালকৃষ্ণ আদবানি এবং বর্ষীয়ান নেতা মুরলীমনোহর যোশিকে কী ভূমিকায় রাখা হবে, সেটা নিয়ে তিনি দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। যদিও বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, মুরলীমনোহর যোশি লোকসভা স্পিকারের দায়িত্ব পালন করুন, সেটা চাইছেন নরেন্দ্র মোদী নিজে। তবে কোনও কিছু তিনি চাপিয়ে দিতে চান না। আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
ইতিমধ্যে হবু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে এসপিজি কমান্ডোরা। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিকে এই কুলীন কমান্ডোরাই সাধারণত সুরক্ষা দেন। ২১ মে শপথ নেওয়ার পরপরই নরেন্দ্র মোদী চলে আসবেন এসপিজি কমান্ডোদের ঘেরাটোপে। এতদিন তাঁর জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও এসপিজি কমান্ডো সুরক্ষা দেয়নি ইউপিএ সরকার। তা নিয়ে বিজেপি-র অভিযোগ ছিল বিস্তর। এ বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই সেই সুরক্ষা পাওয়ার হকদার হবে নরেন্দ্র মোদী।