'ধর্মের ভেদাভেদের ভিত্তিতে পুলিশ কাজ করে না', পুলিশকে সম্মান জানানোর বার্তা মোদীর
আজ দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে দেশের ও দিল্লি পুলিশের প্রসংশা করলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষকে উস্কানি দিতে বিরোধীদের মানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে দেশের ও দিল্লি পুলিশের প্রসংশা করলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষকে উস্কানি দিতে বিরোধীদের মানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশের প্রসংশা
আজ মোদী সভায় আগত কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'স্বাধীনতার পর ৩৫ হাজার পুলিশ শহিদ হয়েছেন দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য। পুলিশে কাজ সাধারণ মানুষের রক্ষা করা। আর বিরোধীদের উস্কানিতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে নৃশংস ভাবে মারছে। পুলিশ তো কারুর ধর্ম জিজ্ঞাসা করে না। তাহলে কেন পুলিশকে মারা হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে মণ্ডিতে আগুন লাগে তখন পুলিশ ধর্ম জিজ্ঞাসা না করেই লোককে বাঁচিয়েছিল। আর সেই পুলিশের উপর আক্রমণ করছে। আমি আমাদের দেশের শহিদ পুলিশদের এখান থেকে প্রণাম করছি'
বিরোধীদের আক্রমণ
মোদী এরপর বিরোধীদের আক্রমণ করে মোদী বলেন, 'আপনাদের মোদীর সঙ্গে সমস্যা। মোদীকে গালি দাও, মোদীর পুতুল জ্বালাও, জুতো মারো। কিন্তু গরিবের বাড়ি, অটো রিক্সা জ্বালিও না। আর সেই সময় ডিউটিতে থাকা পুলিশ যখন হিংসা আটকাতে যায় তার উপর আক্রমণ বা হামলাও চালিও না। সরকার বদলায় কিন্তু পুলিশ কারুর সত্রু না। আমার আবেদন, পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করুন। ধর্মের ভেদাভেদের ভিত্তিতে পুলিশ কাজ করে না। পুলিশকে সম্মান করুন।'
জামিয়া কাণ্ড
সদ্য পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত রবিবার ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লি পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জ করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তবে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশি লাঠিচার্জের নিন্দায় দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
কী হয়েছিল আলিগড়ে ?
এদিকে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদের রেশ আছড়ে পড়ে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় প্রতিবাদ৷ পরিস্থিতি বেগতাক দেখে ছআত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশের লাঠি চার্জ করে। টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়৷ এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন পড়ুয়ারা৷ ক্যাম্পাসের প্রতিটি গেট আটকায় পুলিশ৷ পরিস্থিতি সামলাতে ফের লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়। এরপর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আরও প্রশ্ন ওঠে। অবশ্য তারপরেও বিক্ষোভকারীদের ও বিরোধীদের তরফে পুিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অভিযোগ উঠতে থাকে।
'নাগরিকত্ব আইন গান্ধী মতবাদী', পুরোনো উদাহরণ টেনে গান্ধী পরিবার ও কংগ্রেসকে তোপ মোদীর
অধীরের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে মোদীর! কংগ্রেসের ভূয়সী প্রশংসা করেও তোপ শুভেন্দুর