আপনার জমানাতেই পার্লামেন্টের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, নাইডুর প্রসংসায় পঞ্চমুখ মোদী
Array
সোমবার উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর বিদায় উপলক্ষ্যে রাজ্যসভায় বিশেষ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর এই ভাষণে আবেগতারিত হয়ে পড়েছিলেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু স্বয়ং। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভিপি নাইডু উচ্চকক্ষের উন্নতিতে অনেক সাহায্য করেছেন। তাঁর অবদান এই হাউজের উন্নতিতে অপরিসীম। তার মেয়াদে উচ্চকক্ষের কী ধরনের উন্নতি হয়েছে সেই কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তুলে ধরেন।
আবেগঘন মুহূর্ত
প্রধানমন্ত্রী
মোদী
তাঁর
বিদায়ী
ভাষণে
বলেন,
'
এটা
একটা
আবেগঘন
মুহূর্ত
আমাদের
সকলের
জন্য।'
নরেন্দ্র
মোদী
বলেন,
'আপনি
রাজনীতি
থেকে
অবসর
নিয়েছেন
বলে
আপনি
সবসময়
বলেছেন।
তবে
আপনি
অবসর
নেননি
জনজীবন
থেকে।
সবসময়
অভিভাবকের
মত
কাজে
এসেছে
প্রয়োজনে
আপনার
উপদেশ
।
আপনার
মেয়াদ
শেষ
হতে
পারে
রাজ্যসভায়,
তবে
আমরা
মনে
করি
আগামী
প্রজন্মকে
পথ
দেখাবে
আপনার
অভিজ্ঞতা'।
মোদীর প্রশংসা
নরেন্দ্র মোদী এদিন বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতির কাজেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিদায়ী ভাষণে মোদী উপরাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার সময় এও বলেন যে, প্রায় ৭০ শতাংশ আপনার জমানায় সংসদে সাংসদদের উপস্থিতি বেড়েছে। চেয়ারপার্সন বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে বিদায় জানিয়ে বিশেষ বক্তব্য রাখেন। , মল্লিকার্জুন খাড়গে যিনি রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তিনি বলেন যে, "আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে এবং থাকতে পারে কিছু অভিযোগ, তবে আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন প্রবল চাপের মধ্যেও।" প্রসঙ্গত তাঁর জমানাতেই একক ব্যাচে সর্বোচ্চ সংখ্যক সাংসদকে বরখাস্ত করার একটি নতুন রেকর্ড হয়েছে পার্লামেন্টে। তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে অনেক।
বিদায় বেলায় কান্না
এদিন বিদায় বেলায় কেঁদে ফেলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। এই পদে পাঁচ বছর থাকার পর তাঁকেী ফের এক পদে রাখা হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। সঙ্গে সেই তালিকায় ছিলেন মুক্তার আব্বাস নাকভি, ক্যাপ্টেন অপরিন্দর সিংও। তবে সবাইকে অবাক করে উপরে এই পদের জন্য মনোনয়ন পান জগদীপ ধনকড়। তিনিই নির্বাচিত হয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। ভেঙ্কাইয়া নাইডু ভারতের ১৩তম উপরাষ্ট্রপতি। তিনি মোদী কেবিনেটে আবাস ও শহরের দরিদ্রতা উন্নয়ন মন্ত্রী, নগরীয় উন্নয়ন মন্ত্রী ও তথ্য ও সম্প্রচারণ মন্ত্রী হিসাবে পরিষেবায় নিযুক্ত ছিলেন। ২০০২ সালের থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির অধ্যক্ষ হিসাবে কার্যকরী ছিলেন। এর আগে তিনি অটল বিহারী বাজপায়ীর কেবিনেটে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৭ সালের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি রাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থিত প্রার্থী হন। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্টের গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে পরাজিত করে ভারতের ১৩ তম উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট তারিখে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ তাকে উপরাষ্ট্রপতি রূপে শপথ গ্রহণ করান।
নতুন উপরাষ্ট্রপতি
ইতিমধ্যে,
ধনখড়
ভারতের
১৪
তম
উপরাষ্ট্রপতি
হিসাবে
নির্বাচিত
হয়েছেন।
তিনি
এবার
ভেঙ্কাইয়া
নাইডুর
স্থলাভিষিক্ত
হবেন।
বর্ষা
অধিবেশন
সংক্ষিপ্ত
হতে
পারে
এমন
গুঞ্জনের
মধ্যে,
তিনি
এই
সপ্তাহে
উচ্চকক্ষের
একটি
অধিবেশনের
সভাপতিত্ব
করবেন
কিনা
তা
স্পষ্ট
নয়।
প্রসঙ্গত,
ভিপি
নাইডুর
আমলেই
৩৭০
ধারার
অধীনে
জম্মু
ও
কাশ্মীরের
মর্যাদা
বাতিল
করা
সহ
বেশ
কয়েকটি
ঐতিহাসিক
বিল
পাস
হয়েছিল।
বিদায় বেলায় কাঁদলেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু, বিশেষ সম্মান মোদীর