রাজীব গান্ধীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন নরেন্দ্র মোদীর
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে এলটিটিই-র আত্মঘাতী বোমায় নিহত হন রাজীব গান্ধী। শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে তিনি এ দেশ থেকে সেখানে সেনা পাঠানোয় তাঁকে খুনের ছক কষে এলটিটিই। জঙ্গি সংগঠনটির সুপ্রিমো বেলুপিল্লাই প্রভাকরণ নিজে বসে এই খুনের ছক কষেছিলেন। এই ঘটনায় রাজীব গান্ধী নিজেও দায়ী ছিলেন বলে দাবি করে পুলিশ। কারণ তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এই খবর পাওয়ার পর রাতে শ্রীপেরুম্বুদুরে যেতে নিষেধ করা হয়। আরও বলা হয়েছিল, তিনি যেন জনগণের ভিড়ে না মেশেন। অথচ দু'টি নিষেধাজ্ঞাই অমান্য করেছিলেন তিনি। যদি নিরাপত্তারক্ষীদের বারণ শুনতেন, তা হলে ওই ঘটনা সেই দিন এড়ানো সম্ভব হত।
ওই ঘটনার পর রাজীব গান্ধী ছিন্নভিন্ন দেহ দিল্লির এইমস (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস)-এ এনে জোড়া লাগানো হয়েছিল। ২৪ মে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সারা দেশ শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল।
এদিন ভারতের সেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর খুনের ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেন।
এদিকে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা প্রতি বছরের মতো এবারও বীরভূমিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজীব গান্ধীকে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি সেখানে কিছুক্ষণ মৌনব্রত পালন করেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবে আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন সোনিয়া গান্ধী। বলেন, এই দিন শুধু গান্ধী পরিবার নয়, সারা দেশের কাছে দুঃখের দিন।