৬০ বছরে দেশকে বরবাদ করে ৬০ দিনের হিসাব চাইছেন কোন মুখে: নরেন্দ্র মোদী
আগামী ১৫ অক্টোবর মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন। মহারাষ্ট্রে যেখানে কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সরকার, সেখানে হরিয়ানায় এককভাবে ক্ষমতায় কংগ্রেস। তাই এই দুই রাজ্য ধরে রাখতে কংগ্রেস যেমন মরিয়া, তেমনই বিজেপি চায় ছিনিয়ে নিতে। তাই গতকাল থেকেই পুরোদমে প্রচারাভিযানে নেমেছেন নরেন্দ্র মোদী। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিঁধছেন কংগ্রেসকে।
এ দিন মহারাষ্ট্রের সাংলির তসগাঁওয়ে সভা করেন নরেন্দ্র মোদী। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের 'দুর্গ' বলে গণ্য হয় এই এলাকা। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। দৃশ্যতই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন তিনি। বলেন, "যারা স্বাধীনতার পর ৬০ বছর দেশ চালাল, তারা তো সব কিছু বরবাদ করে দিয়েছে। এরা কোন মুখে আমার কাছে ৬০ দিনের হিসাব চায়? যেখানে কংগ্রেস, সেখানেই দুর্নীতি। কংগ্রেসমুক্ত মহারাষ্ট্র গড়ুন।"
শরদ পাওয়ারকে বিঁধে তিনি বলেন, "আপনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কেন্দ্রে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। কী করেছেন রাজ্যের জন্য? এখানে চিনিকলগুলো বন্ধ। ফলচাষীরা দাম পাচ্ছে না। কেন মহারাষ্ট্রে ফসলের দাম না পেয়ে কৃষকদের আত্মহত্যা করতে হয়? পাশের রাজ্য গুজরাতে তো কৃষকরা সুখী। ইউপিএ সরকার যখন নর্মদা প্রকল্প আটকে দিয়েছিল, তখন আপনি কেন্দ্রে মন্ত্রী। কেন কিছু বলেননি। তা হলে মহারাষ্ট্রে বিদ্যুতের সঙ্কট থাকত না।"
মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি বিজেপি ও শিবসেনার জোট ভেঙে গিয়েছে। তার পরও কেন নরেন্দ্র মোদী শিবসেনার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর জবাব এ দিন দেন তিনি। বলেছেন, "মহারাষ্ট্রে এটাই প্রথম বিধানসভা ভোট, যেখানে বালাসাহেব ঠাকরে নেই। আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি। সেই শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসাবে আমি ঠিক করেছি, শিবসেনার বিরুদ্ধে একটা কথাও বলব না।" ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আসলে ভোটের পর যাতে শিবসেনার সঙ্গে ফের জোট গড়তে অসুবিধা না হয়, সেই জন্য রাস্তা খোলা রাখলেন তিনি।