'ভারত জবাব দিতে জানে', নাম না করে চিনা পণ্য বয়কট নিয়ে শক্তিশেল মোদীর
'ভারত জবাব দিতে জানে', নাম না করে চিনা পণ্য বয়কট নিয়ে শক্তিশেল মোদীর
অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতার হাত ধরে বিদেশী পণ্য বয়কট করাও জরুরি।'মন কি বাত' অনুষ্ঠান থেকে এমনই বার্তা দিয়েছেন মোদী। আর এই বিদেশী পণ্য বলতে যে নরেন্দ্র মোদী চিনকেই মূলত লক্ষ্য করেছেন তাঁর বক্তব্যে, তা বলাই বাহুল্য। এদিন 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী একাধিক বক্তব্য রেখেছেন চিন প্রসঙ্গে।
প্রসঙ্গ ওঠে অসমের বাসিন্দাকে নিয়ে
এদিনের 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসা বহু চিঠি নিয়ে বক্তব্য রাখেন মোদী। সেই প্রসঙ্গে অসমের রজনী নামে জনৈক ব্যক্তিত্বের চিঠির প্রসঙ্গও আসে। তিনি চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানান, পূর্ব লাদাখে যা পরিস্থিতি , তার প্রতিবাদে তিনি শুধুই ভারতে উৎপাদিত পণ্যই ব্যবহার করতে চান। উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদী এদিন স্পষ্ট করে দেন যে তিনি চিনে দ্রব্য বয়কটের বিষয়ে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন।
গোটা দেশ বলছে...
মোদী এদিন বলেন, তাঁর কাছে গোটা দেশ থেকে বহু চিঠি আসছে যেখানে তাঁকে জানানো হয়েছে যে ভারতের আত্ম নির্ভরতার যে রাস্তা প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন, তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে মানুষের। এক্ষেত্রে 'লোকাল কে লিয়ে ভোকাল' স্লোগানের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন মোদী।
'বন্ধুত্ব রাখতেও জানে ভারত..'
মোদী এদিন সাফ বার্তায় জানান, বন্দুত্ব যেমন রাখতেও জানে ভারত, তেমনই কেউ চোখে চোখ রাখতে 'জবাব দিতে জানে ভারত'। এমন বক্তব্যে যে মোদীর শক্তিশেলের নিশানায় চিনই ছিল তা বলা বাহুল্য। তিনি বলেন, বিশ্ব জানে সীমান্ত সুরক্ষায় ভারত কী করতে পারে, আর বিশ্ব শান্তি রক্ষাতেও ভারতের কতবড় অবদান রয়েছে তা জানে আন্তর্জাতিক মহল।
চিনকে নিয়ে হুঁশিয়ারি
নাম না করে এদিন, চিনকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন,'ভারতের দিকে চোখ তুলে যারা তাকিয়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। ভারত বন্ধুত্ব রক্ষা করতে জানে ভারত আবার চোখে চোখ রাখলে জবাব দেওয়াও জানে।' উল্লেখ্য, 'প্রতিবেশী দেশ'-র কার্যকলাপে যে ভারতের স্বাভাবিক পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, তা নিয়ে নিজের ক্ষোভ 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে চেপে রাখতে পারেননি মোদী।
মানুষকে জীবনের শিক্ষা দিয়ে গেল করোনা, 'মনের কথা’য় অনুপ্রেরণার গল্প শোনালেন মোদী