বিহার নির্বাচনে 'রেল' কার্ড বিজেপির, গদির খেলায় কোশি মহাসেতুর লালফিতেয় মোদীর কাঁচি
বিহারের নির্বাচনের আগেই ফের একবার রেলওয়ে কার্ড খেলল কেন্দ্রের ক্ষমতাশীন দল বিজেপি। এক দশক আগেও রেলমন্ত্রককে কোনও রাজ্যে ক্ষমতায় বসার চাবিকাঠি ধরা হল। নীতীশ কুমার, লালু প্রসাদ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা রেলমন্ত্রী থেকেছেন যাঁরা পরবর্তীতে রাজ্যের গদিতে বসেছেন। আসন্ন বিহার নির্বাচনের আগে তাই সেই আগের ফর্মুলা কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মন জয়ের পথে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কোশি রেল মহাসেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
এদিনই কোশি রেল মহাসেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন কোশি প্রোজেক্ট ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী যাত্রী সুবিধা সম্পর্কিত ১২টি রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন। উল্লেখিত, কোশি নদীর উপরে এই ব্রিজের জন্যে দীর্ঘ ৮৫ বছরের অপেক্ষা করতে হয়েছে বিহারবাসীকে। তবে বিহার নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা আবহেও চলেছে রেল সেতুর কাজ
এই প্রকল্পটি ভোটের নিরিখে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে কয়েক দশকের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত যাতে নায় হয়, তার জন্যে করোনা মহামারীর সময়তেও এই প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত ছিলেন কর্মীরা। অন্য রাজ্য থেকে যে সকল পরিযায়ীরা বিহারে ফিরে গিয়েছিলেন, তাদেরকে নিযুক্ত করেই এগোয় শেষ পর্যায়ের কাজ।
ব্রড গেজে রুপান্তরিত নয়া রেলপথ
আগে মিটার গেজে ছিল এই রেলপথটি। সেটি সম্প্রসারিত করে ব্রড গেজে রুপান্তরিত করেছে ভারতীয় রেলমন্ত্রক। এর ফলে নেপাল সীমান্তের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। এই ঐতিহাসিক প্রকল্প ছাড়াও বিহারে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে আরও প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
২০০৩ সালে বিজেপি সরকারের আমলে শিলান্যাস
১৮৮৭ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে মিটার গেজ রেলপথ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কোশি রেল মহাসেতু। তবে ১৯৩৪ সালে হওয়া নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও বন্যার জেরে পুরো ভেঙে যায় সেতুটি। ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ সেই সেতুটি। তারপর কেটে যায় ৮৫ বছর। এরপর ২০০৩ সালে বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির আমলে এই কোশি রেল মহাসেতুর শিলান্যাস হয়।
বিহার নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ মোদীর
কোশি রেল মহাসেতু লম্বায় ১.৯ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫১৬ কোটি টাকা। এই রেলপথ ভারত-নেপাল সীমান্ত অবস্থিত। এর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত, কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বইয়ের যোগাযোগ স্থাপন আরও উন্নত হবে। বিহার বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের গদি টিকিয়ে রাখতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
একনজরে দেখে নিন দেশবাসীকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীর কয়েকটি বিশেষ উপহার