নজরে কেরল! ঈশ্বরের রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে উপহারের ঝুলি নিয়ে হাজির স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী
আর কয়েক মাস পরেই কেরলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগেই কেরলের মানুষের মন জয় করতে মরিয়া বিজেপি। কেরলের রাজনীতিতে সেভাবে কোনও দিনই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি। কেরল বিধানসভাতে তাদের প্রতিনিধির সংখ্যা মাত্র এক। তবে সেই এক থেকেই এবার পদ্ম শিবির ডবল ফিগারে গিয়ে কংগ্রেস এবং বাম জোটকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছে বিজেপি। আৎ সেই লক্ষ্যে এবার উপহারের ঝুলি হাতে হাজির স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কোচি-মেঙ্গালুরু পাইপলাইনের উদ্বোধন
এদিনই কোচি-মেঙ্গালুরু পাইপলাইনের উদ্বোধন করেলন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পাইপলাইন উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী জানান, এক দেশ এক গ্যাস গ্রিড-এর লক্ষ্যে ভারত আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রীর মনে কেরলে পদ্ম ফোটানোর রাজনৈতিক সমীকরণও নিশ্চয় ছিল।
কংগ্রেসের নাম না করে কটাক্ষ
এদিন পাইপলাইন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'এবিষয়ে ২৭ বছরে যা কাজ হয়েছিল, তার অর্ধেক সময়ে তার থেকে অনেক বেশি করতে চলেছে আমাদের সরকার।' এরপর কংগ্রেসের নাম না করে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, 'ঠিক কী কারণে বিগত দশকগুলিতে ভারতের উন্নয়নের গতি থমকে ছিল তা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।'
'নতুন ভারতের' স্বপ্ন তুলে ধরলেন মোদী
এরপরই বিজেপির দেখানো 'নতুন ভারতের' স্বপ্ন তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজকের দিনে ভারতের উন্নয়ন এত ধীরে হতে পারে না। গত কয়েক বছরে দেশের উন্নয়নের গতি, উন্নতির সুযোগ অনেকটাই বেড়েছে।' আজকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দেওয়া ভাষণ যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কংগ্রেস এবং বাম জোটকে আক্রমণ করার লক্ষ্যে ছিল, তা বলাই বাহুল্য।
বিজেপির কাজের খতিয়ান
বিগত দিনের কংগ্রেস সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৭ সালে আন্তঃরাজ্য পাইপলাইন কমিশন তৈরি হলেও ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৫ হাজার কিলোমিটার পাইপলাইন তৈরি হয়। সেখানে এই মুহূর্তে দেশে ১৬ হাজার কিলোমিটার পাইপলাইনের কাজ চলছে। যা আগামী ৪ থেকে ৬ বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।'
মূল বিরোধী দল হয়ে ওঠাই আপাত লক্ষ্য
উল্লেখ্য, কেরলে একুশেই ক্ষমতা দখল করার মতো স্বপ্ন বিজেপি দেখে না। তবে ধীরে ধীরে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই নেমেছে বিজেপি। কেরলে সবরীমালা নিয়ে বিতর্কের সময় থেকেই গেরুয়া ভোট বেড়েছে সে রাজ্যে। লোকসভা নির্বাচনে সেই রাজ্য থেকে আসন না জিতলেও বিজেপি পেয়েছিল ১৫ শতাংশ ভোট। সদ্য সমাপ্ত স্থানীয় নির্বাচনের নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছে বিজেপি। তিরুবনন্তপুরম পৌরসভায় কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে মূল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিজেপি। কেরলে এখন বিজেপির প্রাথমিক লক্ষ্য মূল বিরোধী দল হয়ে ওঠা। ধাপে ধাপে সেখানে জমি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।