হিমাচলের মানুষ বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য মন স্থির করে নিয়েছেন, জনসভায় নরেন্দ্র মোদী
হিমাচল প্রদেশে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, মানুষ বিজেপি ভোট দেওয়ার জন্য মনস্থির করে নিয়েছে
শনিবার হিমাচল প্রদেশে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ১২ নভেম্বর নির্বাচন। পাহাড়ি এই রাজ্যের প্রতিটি মানুষ বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য নিজেদের মন স্থির করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের দ্রুত উন্নতির জন্য একটি স্থিতিশীল সরকারের প্রয়োজন, সেই কারণেই হিমাচলের মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে বলে নিজেদের মন স্থির করে নিয়েছেন।
কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
মান্ডি জেলার সুন্দরনগরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেন, এবারের হিমাচল প্রদেশের ১২ নভেম্বরের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষ আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকারে নিয়ে আসবে না, আগামী ২৫ বছরের জন্য স্থিতিশীল সরকারের বিষয়ে হিমাচলের মানুষ বিজেপির ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, আগামী ২৫ বছর হিমাচল প্রদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছরগুলোতে হিমাচলের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন অপেক্ষা করছে।
হিমাচল প্রদেশে স্থিতিশীল সরকার গঠন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে বলেন, হিমাচল প্রদেশের দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন। হিমাচল প্রদেশের উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা স্থিতিশীল সরকারের। হিমাচল প্রদেশে কোনও স্থিতিশীল সরকার গড়ে উঠতে পারেনি। সেই কারণেই হিমাচল প্রদেশের উন্নয়ন অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটা কম। সেই কারণে বিজেপিকে ভোট দিয়ে হিমাচল প্রদেশের একটি স্থিতিশীল সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়েছে। বিজেপি সব সময় সেবা, সমতা, উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়।
হিমাচল প্রদেশের রাজনৈতিক পালাবাদল
হিমাচল প্রদেশে কোনও রাজনৈতিক দল পর পর দুই বারের মেয়াদে সরকার গঠন করেছে। হিমাচল প্রদেশে প্রত্যেক নির্বাচনে পালা বদল হয়। এটাকেই হাতিয়ার করে বিজেপি প্রচার শুরু করছে। স্থিতিশীল সরকারের অভাবে হিমাচল প্রদেশে উন্নয়ন সেভাবে হয়নি। হিমাচল প্রদেশের বর্তমানে পালা বদল নয়, স্থিতিশীল সরকারের প্রয়োজন বলে বিজেপির তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে।
হিমাচল প্রদেশের সমস্যা
হিমাচল প্রদেশে বেকারত্বের হার অত্যন্ত বেশি। অক্টোবরে হিমাচল প্রদেশের বেকারত্বের হার ৮ শতাংশের বেশি। বেকারত্বের হার হিমাচল প্রদেশের অন্যতম বড় সমস্যা। আর তার সঙ্গে রয়েছে প্রতিকূল যোগাযোগ ব্যবস্থা। হিমাচল প্রদেশে এখনও অনেক গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে দুর্গম পাহাড়ি পথ। একটি গবেষণায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের ৩৯ শতাংশ গ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ নেই। যেহেতু হিমাচল অনেকাংশে পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে সড়ক যোগাযোগ অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়াও জিএসটি ১২ থেকে ১৮ শতাংশ করে ফেলার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপেল চাষিরা।