'এনডিএ বিরোধীরা আদতে দেশবিরোধী', দিনের শেষ ওভারে মোদীর 'অল আউট' আক্রমণ
বিহারে নির্বাচন যত ঘনিয়ে এসেছে ততই পারদ চড়ছে। এবং এই আবহেই এদিন সেরাজ্যে ভোট প্রচারে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারে এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নীতীশের হয়ে গলা ফাটাতে এদিন মোদী বেশ কয়েক দফায় বিরোধীদের আক্রমণ শানান। উল্লেখ্য এদিন মোদীর তিনটি জনসভার আবহেই বিহারে দুটি জনসভা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবং এই দুই নেতাই প্রচারের মঞ্চ থেকে একে অপরের দলের দিকে তোপ দাগেন একাধিক ইস্যুতে।

এদিন বিহারে তিনটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন মোদী
এদিন বিহারে তিনটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন মোদী। ভাগলপুরে শেষ জনসভায় ভাষণ রাখার আগে বিরোধীদের একাধিক তোপ দেগেছিলেন মোদী। তবে শেষ ওভারে মারকুটে ব্যাটিংয়ের মতোই যেন ভাগলপুরেও বিজেপিতের একের পর এক তোপ গাদেন মোদী। পাশাপাশি বলেন, 'যাঁরা এখন এনডিএ-র বিরোধিতা করছেন তাঁরা দেশ বিরোধী। তাঁরা দেশের উন্নয় চান না। দেশের হিতে কাজ হোক, তা চান না। এরা ফের বিহারকে ১৫ বছরের পুরোনো জঙ্গলরাজে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান।'

মোদীর গলায় নীতীশের 'নাম' জপ
এরপর নীতীশের উপর ভোটারদের আস্থা কায়েম করতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, 'আপনারা সকলেই জানেন নীতীশকে সরকারের দায়িত্বে ফেরানো কতটা প্রয়োজনীয়। রাজ্যের উন্নয়ন যাতে আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়, তার জন্য নীতীশকে প্রয়োজন আপনাদের। বাকি বিরোধীরা সব নিজেদের পরিবারের স্বার্থে ক্ষমতায় বসতে চায়।'

উচ্চমানের শিক্ষা প্রাপ্য বিহারের
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'উচ্চমানের শিক্ষা প্রাপ্য বিহারের। তবে যারা শিক্ষার দাম দিতে পারে না, তাদের উপর কি এই বিষয়ে আপনারা ভরসা করতে পারবেন? যেই মানুষটা আপদানের স্বার্থে রাজ্যে আইআইটি এবং এইমসের মতো প্রতিষ্ঠান আনার লক্ষ্যে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন, সেই মানুষটাকে আপনারা ক্ষমতায় ফেরাবেন না?'

৩৭০ ধারা প্রত্যাহার ইস্যুতে মোদীর তোপ
এদিন দলের তরফে বিহারবাসীর কাছে যে কথাগুলি পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন ছিল, প্রায় প্রত্যেক বিষয় ছুঁয়ে যন মোদী। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ থেকে করোনা মোকাবিলায় বিহার সরকারের ভূমিকা, কিছুই বাদ পড়ল না তাঁর বক্তৃতায়। চেনা কায়দায় একের পর এক বাণে বিঁধলেন বিরোধীদের। বললেন, বিরোধীরা জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে চায়।

'বিহারের জন্য অপমান'
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার ইস্যুতে এদিন মোদী বলেন, 'প্রত্যেকে চেয়েছিল ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হোক। কিন্তু এঁরা বলছেন ক্ষমতায় এলে এই কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনবেন। এই মন্তব্য করার পর তাঁরা ভোট চাওয়ার সাহস করেন কীভাবে? এটা কি বিহারের জন্য অপমান নয়? যে রাজ্য সীমান্তে ছেলে-মেয়েদের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে পাঠায়, সেই রাজ্যের জন্য এটা অপমান নয়?'

করোনা নিয়ে মোদীর বাণী
এরপরেই কোরোনা প্যানডেমিক প্রসঙ্গে চলে যান নরেন্দ্র মোদী। নীতীশ কুমারের সরকার করোনা পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন। বলেন, যদি বিহার সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না করত তবে এই প্যানডেমিক আরও অনেকের প্রাণ নিত। কিন্তু আজ বিহার কোভিডের সঙ্গে লড়াইয় করেছে। এখন তা গণতন্ত্রের উৎসব পালন করছে।
'পরিযায়ী' হাতিয়ারেই বিহারে নরেন্দ্র মোদীর 'পদ্ম' পুষ্করিণী ছারখারের ছক রাহুল গান্ধীর