মোদীর নয়া প্রতিভার প্রকাশ, নবরাত্রির নাচে চোখের কোণ চিকচিক করে উঠল জলে
নিজেরই লেখা কবিতা। সেই কবিতা সুরের মূর্ছনায় কখন গান হয়ে গিয়েছে। আবার সেই গানের তালে তালে নাচও। যা দেখে এককথায় মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিজেরই লেখা কবিতা। সেই কবিতা সুরের মূর্ছনায় কখন গান হয়ে গিয়েছে। আবার সেই গানের তালে তালে নাচও। যা দেখে এককথায় মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নবরাত্রির এক অনুষ্ঠানের ভিডিও প্রধানমন্ত্রী দেখলেন ইন্টারনেটে। মন্ত্রমুগ্ধ মোদী সেই নাচ দেখে গোপন রাখতে পারলেন না আবেগ। তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ হয়ে পড়ল সোশাল মিডিয়ায়।
মোদীর চোখের কোণে জল
প্রধানমন্ত্রীর চোখে জল চিকচিক করছে। তাঁর নিজের লেখা কবিতার গানে নাচছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মহিলারা। কী অসাধারণ সেই নৃত্যশৈলী। প্রতিবন্ধকতা নিয়েও এমন শৈলী প্রদর্শন করা যায়। যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না প্রধানমন্ত্রীর। তাই সেই নৃত্য প্রদর্শন দেখে নিজেই টুইট করলেন।
নবরাত্রির ট্রাডিশন
বাংলায় যখন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি চলে। মা দুর্গার বোধন হয়, তখনই সারা ভারত বিশেষ করে উত্তরভারতজুড়ে চলে নবরাত্রির অনুষ্ঠান। গোটা দেশ মেতে ওঠে এই উৎসবে। নিজস্ব রীতি-নীতি, ঐতিহ্য মেনে এই অনুষ্ঠান পালন হয়। আর এই অনুষ্ঠান মানেই নিজস্ব ঘরানার পোশাক, নিজস্ব ঘরানার নাচ।
|
মোদীর কবিতার গানে গরবা নাচ
নবরাত্রির নৃত্য শৈলীতে তাই ডান্ডিয়া আর গরবা নাচের রমরমা। বিভিন্ন গানের সুরে-ছন্দে তাল মেলাচ্ছেন নৃত্যশিল্পীরা। সেই সময় একটি গানে নাচলেন বেশ কয়েকজন দৃষ্টিহীন তরুণী। এই গানটি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন কবিতা। সেই কবিতাই গান হয়ে উঠেছে। তা আবার ফুটে উঠেছে নৃত্যশৈলীতে।
মোদীর লেখা ‘ঘুমে এনো গারবো’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাতি ভাষায় এই কবিতাটি লিখেছিলেন। তাতেই সুর দেন সুরকাররা। আর গানটি গেয়েছেন ঐশ্বর্য মজুমদার ও অমি পারিখ। গান শুনে আর নাচ দেখে তো মোদী স্বয়ং অবাক। এও সম্ভব! তাঁর লেখা কবিতার নাম ছিল ‘ঘুমে এনো গারবো'। সেই কবিতাই সুরের মূর্ছনায় যেন প্রাণ পেয়েছে।
মোদীর কবিতায় সুরের মূর্ছনা
গুজরাতের আমেদাবাদের একটি সমাজসেবী সংস্থা এই উদ্যোগ নেয়। ‘অন্ধ কন্যা প্রকাশ গ্রহ' নামে এই সংস্থাটি দৃষ্টিহীন মহিলাদের নিয়ে কাজ করে। তারাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা এই কবিতার সুর বসিয়ে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপনা করেছে। যা নবরাত্রির অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হচ্ছে।
ট্রাডিশন ভেঙে মোদীর ‘গান’
ট্র্যাডিশন মেনে গান ও নাচই নবরাত্রির অনুষ্ঠানের চিরাচরিত আঙ্গিক। কিন্তু নরেন্দ্র্ মোদীর লেখা কবিতার গানে একটু স্বাদের বদল হল ঠিকই। কিন্তু এক নতুন ভাবনার উদ্ভব হল। ট্রাডিশন থেকে বেরিয়ে এসে একটু অন্যরকম। গরবা নাচলেন সংস্থার দৃষ্টিহীন মহিলারা। মোদীর কবিতায় সুর করা গানে মাতোয়ারা হল অনুষ্ঠান।
মোদীর কবিতার গান ভাইরাল
এই নাচ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে উঠেছে। নরেন্দ্র মোদীর লেখা গান জানার পর, তা আরও ভাইরাল হয়ে যায়। নাচের ভিডিও দেখে প্রধানমন্ত্রী নিজে টুইট করে সেই আবেগ জানান দেশবাসীকে। তিনি লিখেছেন- দৃষ্টিহীন মেয়েদের এই নৃত্যশৈলী পরিবেশনায় তিনি মুগ্ধ। সেইসঙ্গে বেশ অবাকও।
টুইটে আবেগপ্রবণ মোদী
তিনি আবেগ প্রকাশ করে লিখেছেন-তাঁর লেখা কবিতা যে এভাবে প্রাণ পেতে পারে তিনি ভাবেননি। সেইসঙ্গে এই টুইটেই দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নবরাত্রির। নবরাত্রির অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদীর আর একটা প্রতিভা সামনে এসে গিয়েছে। তিনি যে কবি হিসেবেও বিশেষ প্রতিভাধর, তা প্রমাণিত হয়েছে এই ভিডিও-তে।
গুজরাতি কবি নরেন্দ্র মোদী
একসময় গুজরাতি ভাষায় কবিতা লিখতেন নরেন্দ্র মোদী। এতদিন পর নবরাত্রির উৎসবে প্রকাশ্যে এল প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিভার কথা। আর তা প্রকাশ করে দিল আমেদাবাদের সমাজসেবী সংস্থা অন্ধ কন্যা প্রকাশ গ্রহ। দৃষ্টিহীন মহিলাদের নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কীর্তিকে সংযোগ করে দিলেন তারা।
{document1}