জয় হিন্দ! ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এব্যাপারে তিনি টুইট করেছেন। বলেছেন, ভারতের সমস্ত মানুষকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা, জয় হিন্দ।
৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic day) দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) । এব্যাপারে তিনি টুইট করেছেন। বলেছেন, ভারতের সমস্ত মানুষকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা, জয় হিন্দ (jai hind)।
পুরুলিয়াকে মীরজাফর থ্রি বানাবেন! ভোটের খেলার 'বল, উইকেট' সবই দেবেন, বললেন মদন
জাঁকজমকহীন প্রজাতন্ত্র দিবস
করোনা সংক্রমণের জেরে এবারের প্রজাতন্ত্র দিবস হতে চলেছে জাঁকজমকহীন। এছাড়াও প্যারেডও হবে সংক্ষিপ্ত রুটে। এবারের দর্শকও অনেক কম। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ১৫ বছরের নিচের কাউকে রাখা হয়নি। এছাড়াও কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন সেনাবাহিনীর অনেক কম সদস্য। এবার মাত্র ২৫ হাজার দর্শককে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবার এই সংখ্যাটা থাকে ১ লক্ষ ১৫ হাজারের আশপাশে। স্কুলের শিশুরা ফোক আর্ট এবং ক্রাফ্টস প্রদর্শন করবে এদিনের প্রজাতন্ত্রদিবসের অনুষ্ঠানে।
সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
এবার দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্রা আমন্ত্রিত অতিথিদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের তরফে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট্রে ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর জেরে মঙ্গলবার দিল্লি জুড়ে এবং আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হবে। এদিন প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠআন ছাড়াও পরে রয়েছে কৃষকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি।
নজরদারি জোরদার
এদিকে দিল্লি জুড়েই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি গাড়ির সংখ্যা। এরই মধ্যে নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের হুমকির জেরে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারি জানিয়েছেন প্রায় ৬ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও এদিন দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পাশাপাশি থাকবেন বিদেশি অতিথিরা। এদিনের অনুষ্ঠান কোভিড প্রোটোকল মেনে পিপিই, মাস্ক ও ফেস শিল্ড পরেই করা হচ্ছে।
শহর জুড়ে পাঁচস্তরীয় নিরাপত্তা
দিল্লিকে ঘিরে পাঁচ স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাডভাইসরি অনুযায়ী, সোমবার সন্ধে ছটা থেকে বিজয় চকে কোনও গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।