এ বার ট্রেনে চেপে চলুন বৈষ্ণোদেবী দর্শনে, পরিষেবার সূচনা প্রধানমন্ত্রীর
শ্রীনগর পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চলছে কর্মযজ্ঞ। কয়েক বছর পরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন ছুটবে শ্রীনগর পর্যন্ত। তার আগে দুর্গম কাটরা-উধমপুর রুটে ট্রেন চালানো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। ২৫ কিলোমিটার রুটে রেললাইন পাততে খরচ হয়েছে ১১৩২ কোটি টাকা। পাহাড় কেটে বানাতে হয়েছে আটটি সুড়ঙ্গ। তৈরি করতে হয়েছে ৩০টি সেতু। উত্তাল ঝজ্জর নদের ওপর ৮৫ মিটার উচ্চতাযুক্ত একটি সেতু তৈরি করেছেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। বাস্তবিকই এটা প্রযুক্তির বিস্ময়! এই দুর্গম পথ দিয়ে এ বার গমগমিয়ে ছুটবে ট্রেন। উধমপুর থেকে কাটরা পৌঁছে সেখান থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যেতে তাই কম কসরৎ করতে হবে পুণ্যার্থীদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাটরা থেকে উধমপুর যে ট্রেনটি প্রথম ছুটবে, তার নাম হবে শ্রীশক্তি এক্সপ্রেস। আপাতত কাটরা-উধমপুর-কাটরা ছ'জোড়া ট্রেন চালানো হবে। কিছু ট্রেনের গতিপথ বাড়ানো হচ্ছে। এই ট্রেনগুলি জম্মু থেকে সরাসরি কাটরা আসবে। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সরাসরি ট্রেন পৌঁছবে কাটরায়। এর ফলে যেমন পুণ্যার্থীরা সহজে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পৌঁছতে পারবেন, তেমনই জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে সক্ষম হবেন। এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গ দেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও রেলমন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া।
নরেন্দ্র মোদীর আগমন উপলক্ষে কট্টরপন্থী কাশ্মীরি সংগঠনগুলি কাটরায় বনধের ডাক দিয়েছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়। কাটরা-উধমপুর রুটে রেল পরিষেবা ছাড়াও বারামুল্লা জেলার উরিতে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।