ভারত শক্তিশালী হয়ে উঠলে বিশ্বশান্তি বিরাজ করবে, মন কী বাতে বললেন মোদী
ভারতের সামনে কড়া চ্যালেঞ্জ এখন চিন। করোনা হোক বা লাদাখ- চিনের চোখ রাঙানিকে যে ভারত ভয় করছে না দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থাই তা জানিয়ে দিয়েছে। রবিবার মন কি বাতেও সে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিলেন ভারত বিশ্বশান্তির পক্ষে। তার জন্য যা করণীয়, তা-ই করবে ভারত।

ভারত যত শক্তিশালী হবে, ততই বি্শ্বশান্তি বিরাজ করবে
মনের কথায়, মোদী বলেন ভারত যত শক্তিশালী হবে, ততই বি্শ্বশান্তি বিরাজ করবে। প্রতিবেশী দেশকে কড়া বার্তা দিয়ে মোদী বলেন, দেশকে শক্তিশালী করতে হবে। তা করতে পারে একমাত্র দেশবাসী। সুরক্ষা ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণই রয়েছে, দেশবাসী এক হলে, আত্মনির্ভৎ হলে কোনও বিদেশি শক্তিই চোখ রাঙাতে পারবে না।

আত্মনির্ভরতার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী
লাদাখ ইস্যুতেও সেই আত্মনির্ভরতার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, সঙ্কট আসে, আবার চলেও যায়। আমরা আত্মনির্ভর হচ্ছি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি। তাই কোনও চোখ রাঙানি আমরা মানব না। স্বাধীনতার আগে প্রতিরক্ষায় আত্ননির্ভরতার কথাও স্মরণ করিয়ে মোদী ব্যাখ্যা করেন দেশের শক্তি বাড়ানোর ইতিহাস।

প্রযুক্তির ওপর ভর করে আত্মনির্ভর হচ্ছি আমরা
স্বাধীনতার পরবর্তী পর্যায়ে কিছু দিন বাদ দিলে আমরাও এগোচ্ছি। এটা ঠিক যে ভারতের প্রাক স্বাধীনতা যুগে যে দেশগুলি পিছিয়ে ছিল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে, তারা পরবর্তী পর্যায়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ভারত প্রাক স্বাধীনতা যুগে গান ফ্যাক্টারি, শেল ফ্যাক্টরি তৈরি করেছে, যা সেই সময় অন্যদেশ ভাবতেও পারেনি। এখন আমরা সেই প্রযুক্তির ওপর ভর করে আগামী দিনে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হচ্ছি।

ভারতশক্তিশালী হয়ে উঠলে বিশ্বেরই লাভ
মোদীর কথায়, দেশ আত্মনির্ভর হলে, শক্তিশালী হয়ে উঠলে বিশ্বেরই লাভ। কেননা আমরা সর্বদাই বিশ্বশান্তির পক্ষে। আমরা শক্তিশালী হলে বেশ কিছু দেশ চোখ রাঙাতে পারবে না। তাহলে বিশ্বশান্তি বজায় থাকবে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা সেই লক্ষ্যই স্থির করেছি। কেননা কঠিন পরিস্থিতিই শেখায়। এখান থেকে শিক্ষা নিয়েই আত্মনির্ভরতার নতুন অভিযান শুরু করেছি আমরা।

'ভারত জবাব দিতে জানে', নাম না করে চিনা পণ্য বয়কট নিয়ে শক্তিশেল মোদীর